নয়াদিল্লি : করোনার উপসর্গ সমস্ত কিছু রয়েছে, অথচ টেস্ট বলছে নেগেটিভ। আপনি একে বিশ্বাস করবেন না কি করবেন না? আপাত দৃষ্টিতে বিশ্বাস করতেই পারেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন আর একবার নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
ঘুসঘুসে জ্বর রয়েছে, গা, হাত, পা, কোমরে ব্যাপক ব্যথা, চোখ লাল বা ওই ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে। মন বলছে করোনা। টেস্ট করালেন জানিয়ে দেওয়া হল, আপনার রিপোর্ট নেগেটিভ। বলা হল আপনার যে আশঙ্কা সেই সমস্যা নেই। বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলা হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতেই আপনার নিশ্চিত হয়ে যাওয়া উচিৎ নয়। কারণ মানুষ হোক বা মেশিন, ভুল সবারই হয়। তা বলে আপনি নিজেকে সমস্যায় ফেলবেন কেন? কিন্তু ভুল হতে পারে কেন? চিকিৎসকরা বলছেন ঠিকমতো যদি সোয়াব না নেওয়া হয় তখন রিপোর্টে এই সমস্যা হয়। সোয়াব নিতে হয় নাকের পিছন থেকে। সেখানে ভুল হতে পারে। হবেই তার কোনও মানে নেই, কারণ যারা এই কাজ করছেন তাঁরা অত্যন্ত দক্ষ। তবু ভুল হতেই পারে। এটা মানুষের ভুল। এবার রইল যান্ত্রিক ভুল। সেটা হতে পারে আরটি-পিসিআরে। তেমন হলে সিটি স্ক্যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমন ঘটনা ঘটলে রিপোর্টে উপরে সবসময় ভরসা না করে সিটি স্ক্যানও করাতে হতে পারে। আসলে চিকিৎসকরা বলছেন র্যাপিড টেস্ট মানেই যে ভাইরাস ধরা দেবে তার কোনও মানে নেই। তখন নজর দিতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট কি বলছে। সেখানেও যদি গড়বর হচ্ছে বলে মনে হয় তখন সিটি স্ক্যান। ওটিতে লুকোচুরির কোনও সমস্যা নেই।
কিন্তু সবাই যে এত কিছু করতে পারবেন তার কোনও মানে নেই। অর্থাৎ আর্থিক স্বচ্ছলতা। তখন কী করা যাবে? চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে বলছেন সবার আগে নিজেকে নিজে থেকে আইসোলেট করুন। ১৪ দিন ঘরবন্দি থাকতে হবে। বাড়িতেও মাস্ক পরতে হবে। খাওয়া দাওয়া যে বাসনে সমস্যায় পড়া ব্যক্তি করবেন সেই বাসন যেন কেউ ব্যাবহার না করেন। তার বাসন সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। বাথরুমও আলাদা হলে আরও ভালো। কিন্তু সবার বাড়িতে কী সেই ব্যবস্থা থাকবে? সেক্ষেত্রে উপায়!
যিনি স্নানঘর এরপরে ব্যবহার করবেন, তার আগে মাস্ক পড়ে স্নানঘরে ঢুকে তারপর ডেটল বা এমন জাতীয় কোনও তরল দিয়ে পুরো স্নানঘর স্যানিটাইজ করে তারপর ব্যবহার করা উচিৎ। সম্ভব হলে ঘন ঘন বাড়ি স্যানিটাইজ করাতে হবে। আর ডাক্তার যা বলবেন সেই ওষুধ তো খেতেই হবে। সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। ভিটামিন সি’এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতেই হবে। প্রোটিন তো রাখতেই হবে তালিকায়।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-04-24 17:30:02
Source link
Leave a Reply