হাইলাইটস
- রাতারাতি শাশুড়ির মনোভাব বদলে ফেলা তো সম্ভব নয়।
- তাই, প্রথমে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করুন।
- তাঁকে বোঝান যে তিনি এখন প্রাপ্তবয়স্ক
সমস্যা হল অর্কর মা ওদের সঙ্গে এসে থাকতে শুরু করার পর। ছেলেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে লকডাউনের মধ্যেই ওদের ফ্ল্যাটে চলে আসেন অর্কর মা। বিয়ের পর থেকে কোনও দিনই তেমনভাবে শ্বশুরবাড়ি করেনি তিন্নি। ফলে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে খুব বেশি সখ্যতা তার নেই। কিন্তু নিয়মিত ফোন করা, খোঁজ নেওয়া এসবই সে করত। অর্কর কাছ থেকে জেনে নিয়ে প্রথম কয়েকদিন সে শাশুড়ির পছন্দের বেশ কিছু রান্নাবান্না করল। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি তিন্নিকে বলেন অফিস সামলে আর রান্নাঘরে ঢুকতে হবে না। এদিকটা তিনিই সামলে নেবেন। আর তিন্নির রান্না তাঁর খুব একটা ভালো লাগছে না। এই কথায় তিন্নির একটু খারাপই লাগল। সাধ করে নিজের সাজানো রান্নাঘর চট করে সে অন্যের হাতে তুলে দেবে এটা ভাবতেই যেন তার কেমন একটা লাগল।
কিন্তু শাশুড়ি মা নাছোড়বান্দা। ওদিকে অর্কও যেন হঠাৎ করে মাম্মাজ বয় হয়ে গেছে। মাকে বলছে পরোটা কর, পাঁঠার মাংস করো, চিংড়ির মালাইকারি করো। এদিকে তিন্নিকে সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে অর্কর মা বললেন তাঁর ছেলে এসব ডায়েট ফুড একদম খেতেই পারে না। মা-বাবা যা বলেন ছেলে অক্ষরে-অক্ষরে তা পালন করে চলে। তিন্নির মতামত মোটেও গুরুত্ব পায় না। আবার যদি ছেলে একটু হলেও স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে ফেলেন, তাহলেই মায়ের মুখ ভার! এদিকে ব্রেকফাস্টে স্মুদি খাওয়া তিন্নি পরোটা, লুচি, পাস্তা, চাউমিন এসব একদমই খেতে পারে না। ভাত তো সে ছুঁয়েই দেখে না। কয়েকদিন পর দেখা গেল তিন্নির রান্না ওকে নিজের মতো করেই করতে হচ্ছে। আর ছেলে-মা বেশ রসিয়ে নিজেদের মতো করে খাওয়া দাওয়া করছে। খেতে বসে গল্প করছে। উইকেন্ড কোথাও যাওয়া হলে কিংবা কোনও খাবার অর্ডার করার থাকলে সেটাও হচ্ছে শাশুড়ির পছন্দ মতো। অর্ককে কিছু বললেই বলে, ‘মা তো কয়েকটা দিনের জন্যে এসেছে’। তিন্নির সমস্যা, ভালোলাগা এসব কিছু সে পাত্তাই দিচ্ছে না।
তিন্নির খুব মন খারাপ হল। কয়েকদিন তো কান্নাকাটিও করল। পরের দিকে রাগের চোটে অর্কর সঙ্গে প্রায় কথা বলাই বন্ধ করে দিল। অর্ক এসব দেখেও কিছু বলত না। একসময় তিন্নি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বিয়েটা ভেঙেই ফেলবে। এসব শুনে তিন্নির এক সিনিয়র দিদি তাকে বেশ কিছু পরামর্শ দিল। কী উপদেশ দিয়েছিল সেই দিদি তা রইল আপনাদের জন্যেও। শাসুড়ির সঙ্গে সমস্যা হলে এই পরামর্শ কাজে লাগদান আপনিও।
*রাতারাতি শাশুড়ির মনোভাব বদলে ফেলা তো সম্ভব নয়। তাই, প্রথমে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করুন। তাঁকে বোঝান যে তিনি এখন প্রাপ্তবয়স্ক। অতএব, বাবা-মায়ের কথা শুনে চলার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর কথার গুরুত্ব দেওয়াও প্রয়োজন। সঙ্গীকে এটাও বোঝান যে আপনার ভালমন্দ দেখার দায়িত্বও কিন্তু ওঁর। সে দায়িত্ব তিনি যেন অবহেলা না করেন।
*যে কোনও সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। আপনি শ্বশুর-শাশুড়িকে শ্রদ্ধা করেন বলেই তাঁদের মুখের উপর প্রতিবাদ করেন না। কিন্তু তাঁরা যদি এমন কিছু বলেন যাতে আপনার সম্মানহানি হয়, তাহলে অবশ্যই প্রতিবাদ করুন। বারকয়েক প্রতিবাদ করলে তাঁরাও বুঝবেন যে আপনি মোটেও বিনা বিতর্কে ওঁদের বশ্যতা স্বীকার করে চলার মানুষ নন। তখন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার আগে দু’বার ভাববেন।
*শাশুড়িকে বলুন স্বাস্থ্যের খাতিরেই প্রতিদিন অতিরিক্ত তেল মশলা খাওয়া ঠিক নয়। আপনার মতো ডায়েট ফুডও কাওয়া দরকার।
*বাইরে থেকে খাওয়ার আসলে যাতে আপনার পছন্দমতো কোনও খাবার থাকে সেই দেখার দায়িত্ব স্বামীর। এটা তাঁকে বুঝতেই হবে। আর মুখ ফুটে এই কথা স্বামীকে আপনিই বলুন।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-22 18:06:38
Source link
Leave a Reply