করোনাকালে ইমিউনিটি সিস্টেম জোরদার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকরা। ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতেও নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস লাগান; গায়ের দুর্গন্ধ এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ ভয়ঙ্ক হয়ে উঠছে তাই এই সময়ে শরীরের খেয়াল রাখা খুব জরুরি। মেডিক্যাল নিউজ টুডের মতে নিম, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ফ্রি র্যাডিকেলগুলির প্রভাবকে হ্রাস করে।
নিমের ইতিহাস জেনে নিন
সার্স বা ইবোলার মতো নানা ধরণের প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল বহু জায়গায়। কিন্তু এই করোনাভাইরাস তার মধ্যে সর্বশেষ। গেটা দুনিয়াজুড়ে বিশ্বব্যাপী মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত মুছতে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় নিমই জীবাণুমুক্ত করার বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া পক্স-হাম-টাইফয়েড এই সময়টায় বেশ জাঁকিয়ে বসে। তাই এখন থেকে নিমের ব্যবহার করুন প্রতিদিন। গ্রামীণ এলাকার বাড়িতে জ্বালানী ছাড়াও তার কাঠ থেকে আসবাব তৈরি করা হয়। আসুন জেনে নিন নিম কীভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।
নিম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ
নিম ইমিউন সিস্টেমকে স্ব-নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। নিম পাতা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। এর সঙ্গে এটি আমাদের দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত অন্ত্রের ব্যাকটিরিয়াকেও মেরে ফেলে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং সে কারণেই এটি ত্বকের জন্যও কার্যকর। নিম খাওয়া প্রতি মরসুমে শরীর এবং হজম সিস্টেমের জন্য উপকারী। এক কাপ নিমপাতায় ক্যালোরি থাকে ৩৫ গ্রাম। ফলে প্রতিদিন এককাপ নিমপাতা খেলে ব্লাড সুগার থাকবে এক্কেবারে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও যাদের সুগার নেই, তাদের ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা করা যায়।
কীভাবে ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে ব্যবহার করবেন
আয়ুর্বেদের মতে নিম চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রোজ একটু করে নিম পাতা সেবন করতে পারে যা খুব তেতো লাগে না। যদি ইচ্ছা হয় তবে আপনি প্রতিদিন একটি করে নিম ক্যাপসুলও নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে। কারোও শরীর ফুলে গেলে নিম সেবন করলে মুক্তি পাবেন সহজেই। এটি লিভার এবং হার্টকে স্বাস্থ্যকর রাখে। তিক্ততার কারণে অনেকে এটি গ্রহণ করেন না, তবে আয়ুর্বেদের মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম খাওয়া শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, শারীরিক ব্যাধিও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
নিম শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলি বের করে দেয়
নিমের নির্যাসে ডায়াবিটিস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি এর বাজারে সিরাপও পাবেন। নিমের কাণ্ড, মূল, বাকল এবং কাঁচা ফল সব ধরণের পর্যায়ক্রমিক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। নিমের ছালও গ্রামাঞ্চলে ত্বকের রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি ওষধি যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করতে সাহায্য করে যা আমাদের রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-21 16:32:36
Source link
Leave a Reply