হাইলাইটস
- ডায়াবিটিস ইদানীং খুবই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের।
- টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না।
- অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা উৎপন্ন হলেও সঠিকভাবে কাজ করে না।
ডায়াবিটিসের সাধারণ কিছু লক্ষণ হল, ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, অনেক বেশি তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রবণতা, কাটা স্থান বা ক্ষত শুকোতে সময় লাগা এবং ঝাপসা দৃষ্টি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ- বাড়ি বা রেস্তোরাঁ যেখানেই খান, ন্যূনতম কিছু নিয়ম মানলে উপকার আপনারই। ভারতীয়দের খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট আর প্রোটিনের আনুপাতিক হার হওয়া উচিত ৬০:২০:২০। এই সমতা বজায় রেখে একজন ডায়াবেটিক রোজ ১,৫০০-১,৮০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে পারেন। সঙ্গে দুটো মরশুমি ফল আর তিন রকমের সবজি থাকতেই হবে।
কেমন ডায়েট হতে হবে ভারতীয়দের
১. রোজ দানা শস্য, ওটস, ছোলার আটা, মিলেটের মতো হাই ফাইবার যুক্ত খাবার তালিকায় রাখুন। কেউ পাস্তা বা নুডলস খেতে চাইলে সঙ্গে যেন সবজি বা অঙ্কুরিত শস্য থাকে।
২. দুধে কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিন সমপরিমাণে থাকে। দুধ ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই দিনে দু’বার দুধ খান।
৩. ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি যেমন, কড়াইশুঁটি, বিনস, ব্রকোলি বা পালং শাক নিয়মিত খেতে হবে। এর সঙ্গে ডাল এবং অঙ্কুরিত সবজি খেতে পারলে আরও ভালো।
৪. ডায়েটে ডাল যেন অবশ্যই থাকে। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ অন্যান্য শস্যের তুলনায় ডাল রক্তে গ্লুকোজের উপর কম প্রভাব ফেলে। ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫. গুড ফ্যাট যেমন, ওমেগা ৩ এবং মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের পক্ষে উপকারী। তিসি তেল, ক্যানোলা অয়েল, বাদামের তেল আর তেল যুক্ত মাছে এই ধরনের গুড ফ্যাট পাওয়া যায়। এগুলি ট্রান্স ফ্যাট-ফ্রি এবং এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম থাকে।
৬. ফাইবার সমৃদ্ধ ফল যেমন পেঁপে, আপেল, ন্যাসপাতি, কমলালেবু আর পেয়ারা খাওয়া উচিত। আম, কলা আর আঙুরে চিনির মাত্রা অনেক বেশি। তাই অন্য ফলের তুলনায় কম খাওয়াই ভালো।
৭. মিল প্যাটার্নে খান। অর্থাত্ অল্প অল্প করে পাঁচ বার খেলে সমস্যার সমাধান হবে। একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খেলে কিন্তু সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই বারে বারে অল্প পরিমাণে খেলে হাই বা লো-ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মিলের মাঝে ধোকলা, ফল, হাই ফাইবার কুকিজ, বাটারমিল্ক, টকদই, উপমা, পোহা খাওয়া যেতেই পারে।
৮. ব্লাড সুগারের রোগীর খাবারের তালিকায় সব সময় অল্প কার্বোহাইড্রেট, বেশি ফাইবার, পরিমিত প্রোটিন, ভিটামিন আর মিনারেলস রাখতে হবে। ফ্যাটি ফুড এড়িয়ে চলাই ভালো।
কী করবেন না- মিষ্টি বর্জন করুন। একান্তই মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চাইলে তা যেন কৃত্রিম সুইটনার দিয়ে বানানো হয়। বেশি করে পানীয় গ্রহণ করুন, তবে অতিরিক্ত মদ্যপান চলবে না। আমিষ খাওয়া উচিত? আমিষাশী হলে সামুদ্রিক মাছ আর চিকেন ডায়েটে রাখুন। রেড মিট না-খাওয়াই ভালো। কারণ, এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। যাঁদের হাই কোলেস্টেরল আছে তাঁরাও রেড মিট ও ডিমের কুসুম খাবেন না।
ডায়াবেটিকরা সব সময় পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট আর প্রোটিন খাদ্য তালিকায় রাখবেন। কারণ, পরিকল্পনা মাফিক এবং ভারসাম্য বজায় রেখে খেলে আখেরে লাভ আপনারই।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-20 17:51:58
Source link
Leave a Reply