ঢাকার নিউ বেইলি রোডের নাটক সরণির সামনে যেতেই চোখে পড়ল রংবেরঙের সাজসজ্জা। ভোজনরসিকদের জন্য দারুণ এক চমক অপেক্ষা করছে এখানে। কেননা একই ছাদের নিচে পাশাপাশি সাজানো হয়েছে বিশ্ব খ্যাত খাবারের রেস্তোরাঁ পিত্জা হাট ও কেএফসি। ভেতরে মৃদু গান বাজছে, দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের ছবি।
১০ অক্টোবর এর উদ্বোধন করেন ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আক্কু চৌধুরী। তিনি বলেন, এ দেশের তরুণ প্রজন্ম এখন আর শুধু ফাস্টফুড কিংবা সুন্দর সাজসজ্জাকে প্রাধান্য দেয় না, তারা চায় এমন একটি পরিবেশ, যেখানে বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো খাবার খেতে খেতে কাটাতে পারবে সুন্দর কিছু মুহূর্ত। তিনি আরও বলেন, বেইলি রোড এলাকায় অনেকে বিভিন্ন নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসে। আর তার আগে-পরে তারা যাতে ভালো একটি পরিবেশে নিজেদের পছন্দের খাবার খেতে পারে, সে জন্যই পিত্জা হাট ও কেএফসি একই সঙ্গে এখানে যাত্রা শুরু করল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী আলী যাকের, সারা যাকের, তমালিকা কর্মকারসহ আরও অনেকে।
এখানকার পিত্জা হাট প্রথমবারের মতো নিয়ে এল ভিন্নধর্মী ডাইন-ই-এক্সপেরিয়েন্স, যার মধ্যে আছে দৃষ্টিনন্দিত সাজসজ্জা, বর্ধিত খাবার মেন্যু এবং নতুন লোগো ও ট্যাগলাইন। শুধু নাটক সরণির এই আউটলেটের ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন এই নতুন অভিজ্ঞতা। পিত্জা হাটের নতুন লোগো ও ট্যাগলাইনটির নাম দেওয়া হয় ‘স্টোরিজ হ্যাপেন’। এখানে ভোজনরসিকদের জন্য থাকছে ফ্রায়েড পটেটো ওয়েজেস, অনিয়ন রিংস, ফিলারযুক্ত পটেটোশেল ও চিজি পটেটোশেল এবং জিভে জল আনা নানা স্বাদের পিত্জা। এখানে আরও রয়েছে ক্রিমযুক্ত স্পিনাচ মাশরুম, মিটবলযুক্ত বোলোনিজসহ চমকপ্রদ সব নাশতা। আর তৃষ্ণায় গলা ভেজাতে থাকছে লেমন আইসড টি ও নানা কোমল পানীয়। শিশুদের খেলার জন্যও এখানে আলাদা একটা জায়গা থাকছে, যেখানে শিশুরা খেলতে পারবে মনের আনন্দে।
নতুন এই রেস্তোরাঁয় আন্তর্জাতিকভাবে এই ব্র্যান্ডের ৫০তম জন্মদিনটিও উদ্যাপিত হলো।
পিত্জা হাটের কথা তো হলো, এবার বলি কেএফসির কথা। পিত্জা হাটের সঙ্গেই লাগানো এই রেস্তোরাঁয়ও থাকছে নানা চমক। ভোজনপ্রিয়দের জন্য মজার মজার নানা খাবার থাকছে এখানে। বসার জায়গাগুলোয় আছে নানা বৈচিত্র্য। বন্ধুদের নিয়ে যেমন বসার আলাদা জায়গা, তেমনি আছে পরিবারের সবাইকে নিয়েও বসার ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে যেন মনের আনন্দে ভোজের ব্যবস্থা। এখানে এসে বেইলি রোডের বাসিন্দা রুমা বলেন, ‘এত দিন কেএফসি ও পিত্জা হাটে যেতে বিভিন্ন স্থানে ছুটতে হতো। এখন দুটিই একসঙ্গে ও হাতের কাছেই, যখন খুশি তখন খেতে পারব। আর কোনো ঝামেলা নেই।’
একই ছাদের নিচে একপাশে কেএফসি, অন্যপাশে পিত্জা হাট। জিভে জল আসার মতোই ব্যবস্থা যেন। ভোজনরসিকদের খাবারদাবার জমবে এবার! আর দেরি কেন, এখনই চলে যান ১০ নাটক সরণি, বেইলি রোডে, পিত্জা হাট ও কেএফসির নতুন শাখায়।
মোছাব্বের রিবন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ১৩, ২০০৯
Leave a Reply