হাইলাইটস
- এক বন্ধু মুখে গল্প শোনা গল্প। কর্মসূত্রে উত্তরম আমেরিকার কিউবাতে জন্য গিয়েছিলেন তিনি।
- কাজের ফাঁকে ফাঁকে শহর ঘোরা বাঙালির কর্তব্য। সেই কর্তব্য অনায়াসে পালন করতেন সপ্তাহান্তে।
- এরকমই এক ছুটির দিনে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
যুগলবন্দি শেষে হলে যেতে পরেই তাঁর সঙ্গে বন্ধু আলাপ করেন। কথায় কথায় সংগীত পরিচালক বলেন তিনি বিভিন্ন দেশে মিউজ্যিক্যাল ট্যুর করে থাকেন। এটা ওনার হবি। তবে এই মিউজিক্যাল ট্যুর মানে কিন্তু গান গাইতে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ানো নয়, এই ট্যুর হল সুর, তাল ছন্দের খোঁজে বিভিন্ন দেশ ঘোরা। অনন্য সুরে-তাল-লয়ের খোঁজে বহু বিদেশি যেমন আমাদের দেশে আসেন তেমনই আমাদের দেশের বহু শিল্পী বিদেশে যান সেখানকার গানের খোঁজে। কোন কোন দেশে গেলে প্রাণ খুলে গানের সঙ্গে ভাব ভাবোলবাসা করতে পারবেন তা জানেন কি?
হাভানায় ভালোবেসে গান
কিউবার রাজধানী হাভানার নাম শুনেছেন? আজ্ঞে হ্যাঁ, সেই হাভানা যেখানকার চুরুট ধূমপায়ীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সেদেশের বিপ্লবের কথাও গোটা বিশ্ব জানে। কিন্তু সেখানকার সংগীত, শিল্প, সংস্কৃতিও যে বিশ্ববিখ্যাত তা জানতেন কি? সেদেশের মানুষ গান বড় ভালোবাসেন। হাভানার ফুটপাথ কিংবা অট্টালিকা ঘেরা সরু গলির যেখানে সেখানে বসে গানের আসর। বিশ্বের বহু বিখ্যাত সংগীতশিল্পী সেই আসরে অংশ নেন। সেদেশের স্থানীয় গুণী শিল্পীদের কাছ থেকে সংগীত শিক্ষা করেন। অনেক শিল্পী সেখানে যান নিজেদের তৈরি সংগীত পরিবেশন করতে। লাতিন আমেরিকার বিখ্যাত সালসার প্রকৃত স্বাদ পাবেন এখানে এলেই। কিউবা ঘুরতে গিয়ে সংগীত চর্চার পাশাপাশি সেখানকার বার এবং সাবেকি কফিশপগুলিতে ঢুঁ দিতে ভুলবেন না যেন। জিভের স্বাদের পাশাপাশি সেখানকার পেশাদার সংগীতশিল্পীদের সুরের মু্র্ছনাও আপনার সফরসঙ্গী হবে। আর কিউবায় গেলে হাভানা ছাড়াও ভেদাদো এবং মিরানমারে ঘুরে আসবেন। হাভানা যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আখড়া তেমনই ভেদেদো অবসর যাপনের ভালো জায়গা। আর ঐতিহাসিক স্থাপত্য ভাস্কর্যের হদিশ পাবেন ওই মিরানমারে গেলে।
গানে ভুবন ভরিয়ে দেব
আমেরিকার ন্যাশভিল। বিশ্বে সেরা সংগীতময় শহরগুলির মধ্যে একটি। ন্যাশভিলের পোশাকী নামই হল মিউজিক সিটি। লোকসংগীতের অন্যতম আঁতুরঘর এটি। এখানকার দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড ওপ্রে এবং ব্লুবার্ড ক্যাফের বহু সংগীতশিল্পী নিজগুণে বিশ্বের নামজাদাদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন। লোকসংগীত ছাড়াও এখানকার রক-এন-রোলও কিন্তু ভীষণ জনপ্রিয়।
বার্লিনের গানের আসরে
ইতিহাসের পাতায় বার্লিনের নাম সকলেই রপড়েছেন। অনেকেই সেই শহরের অনেক গল্প জানেন। কিন্তু শুধুমাত্র সংগীতপ্রেমীরাই সেখানকার অনবদ্য সংগীতের খোঁজ রাখেন। জার্মানির বার্লিন পথ সংগীতের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এই শহরের রাস্তার দারে অসংখ্য গুণী সংগীতশিল্পী নিজেরে সুর, তাল, ছন্দে আকাশ বাতাস মাতিয়ে রাখেন। এখানকার বিখ্যাত সিমফনি অর্কেস্ট্রার ড্রাম খুব জনপ্রিয়। ডেভিড বোউই, ইগি পপ কিংবা এ আর রহমানের মতো বিশ্বের তাবর তাবর শিল্পীরা সেই সব সুর-তাল-ছন্দের আকর্ষণে বারবার ছুটে যান এই শহরে। মিউজিক্যাল পার্টি এবং অনুষ্ঠান এই শহরে পর্যটকদের টেনে আনে বারবার। পপ, ইন্ডি গথ, কিংবা মাথ রকের সুর ভেসে আসে বার্লিন শহরের আনাচকানাচ থেকে।
লন্ডনের সুর-তাল-ছন্দ
ভারতের যেমন কলকাতা তেমনই যুক্তরাজ্যের লন্ডনকে বলা হয় সংস্কৃতির রাজধানী। এই শহরের প্রতিটি কোণায় রয়েছে সুরের জাদু স্পর্শ। শহরের অভিজাত ক্লাব, ঐতিহ্যবাহী পাব কিংবা সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলিতে গেলেই বিভিন্ন ধারার সংগীতের স্বাদ পাবেন। শহরের কোথাও না কোথাও সংগীতানুষ্ঠান চলেই থাকে। এককথায় সাতদিন ২৪ ঘণ্টা ধরেই লন্ডনে চলে সংগীতচর্চা।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
বিদেশ বিভুঁইয়ে গানের খোঁজে যেতেই পারেন তবে নিজের দেশের সংগীতের পীঠস্থানগুলিতেও ঢুঁ দেওয়াটা কিন্তু কর্তব্য। তা সে বীরভূমে বাউলের আখড়া হোক কিংবা রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামের লোকগীতি, কিংবা উত্তর প্রদেশের ধ্রুপদী ঘরানার সংগীত। ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী কচ্ছ থেকে মাজুলি যেই প্রদেশেই যান না কেন সংগীতের মুর্ছনায় আপনি ভেসে যেতে বাধ্য। গান শোনা যদি নেশা হয় আর গান গাওয়া প্যাশন, তাহলে নিজের দেশে একবার মিউজিক্যাল ট্যুর করে দেখুন। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীরা কিন্তু চুপিসাড়ে এদেশে এসেও গান শিখে যান।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-18 19:05:31
Source link
Leave a Reply