নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় করোনা পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের টাস্ক ফোর্স। এই টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন আইইএস সঞ্জয় বানসাল। যিনি স্বাস্থ্য দফতরের অন্যতম সচিব। তার সঙ্গে আরও যে তিনজন সদস্য রয়েছেন, তাঁরা হলেন ডাঃ হরে কৃষ্ণ চন্দ্র, ডাঃ সোমা মাইতি, এবং ডাঃ অর্নব রায়।
এদের কাজ বেড পর্যালোচনার দিকে নজর দেওয়া। কীভাবে বেড সংখ্যা বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেওয়া। এর পাশাপাশি আর-আহমেদ ডেন্টাল কলেজে কোভিড ইউনিট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এখন যে প্রশ্নটা উঠছে সেটি হল, যে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে সেটি কি পর্যাপ্ত! তার কারণ, এখনও পর্যন্ত যদি একটু খতিয়ে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালে রাজ্যে বেশি করোনা আক্রান্ত ছিল ২২ অক্টোবর। সেদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪১৫৭ জন। সে সময় রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন ছিল?
- রাজ্যে মোট কোভিড হাসপাতাল ছিল- ৯৩
- মোট বেড ছিল- ১২৭৫১
- ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড ছিল – ১২৪৩
- ভেন্টিলেটর- ৭৯০
- সরকারি সেফ হোম ছিল – ২০০টি।
- সেখানে মোট বেড বরাদ্দ ছিল- ১১৫০৭
- রোগী ভর্তি ছিলেন- ১২১৯
গতকাল রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতর করোনার যে ছবি তুলে ধরেছে, তা খুবই দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৪। রাজ্যের এহেন অবস্থায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক কেমন?
১৭ এপ্রিল মানে শনিবার রাজ্যে একদিনের সংক্রমণ ছিল প্রায় দ্বি-গুণ- ৭৭১৩
- কোভিড হাসপাতাল- ৬১
- মোট কোভিড বেড- ৭৬৭৬
- ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড- ১৭৯৬
- ভেন্টিলেটর- ৫২৫
- সরকারি সেফ হোম অবশ্য আছে ২০০টি।
- সেখানে মোট বেড বরাদ্দ – ১১৫০৭
- রোগী ভর্তি আছেন- ৮৩ জন মাত্র
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত হলে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ছে যে তাঁকে ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। সেফ হোমে থাকতে পারছেন না তাঁরা। কার্যত, সেই কারণেই ফাঁকা যাচ্ছে সেফ হোম। আর অন্যদিকে, যে ভয়ানক চিত্রটি ফুটে উঠছে, তা হল হাসপাতলে কোভিড রোগীর জন্য বেড শূন্য। ক্রিটিকাল ইউনিটও শূন্য। যে হারে করোনা বাড়ছে, সেখানে যদি বেড সংখ্যা নিয়ে ভাবা না হয়, তাহলে রাজ্যে স্বাস্থ্যের হাল আরও বেহাল হয়ে পড়বে। যত দ্রুত সম্ভব, যাদের শারীরিক কোনও সমস্যা নেই, অথচ কোভিড পজিটিভ, তাদের সেফ হোমে পাঠানোর বন্দোবস্ত করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Zee24Ghanta: Health News
2021-04-18 13:17:06
Source link
Leave a Reply