কালাজ্বরের ক্যাপসুল নিয়ে তুলকালাম
কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর পপুলারের মিল্টেফস খাওয়ানো বন্ধ
কালাজ্বর নির্মূলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত মে মাসে রোগীদের যে মিল্টেফস (মিল্টেফসিন) ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেছিল, তার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ১১ সেপ্টেম্বর ক্যাপসুলটি দিয়ে কালাজ্বরের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। ওষুধ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে ক্যাপসুলটির উৎপাদন, মজুদ ও বিপণন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালাজ্বরের রোগীদের আগে স্টিবাটিন ইনজেকশন দেওয়া হতো। কিন্তু এই ইনজেকশন দেওয়ার সময় রোগী খুবই ব্যথা অনুভব করে বলে এর বিকল্প খোঁজা হয়। গত মে মাসে ইনজেকশনের বিকল্প হিসেবে মিল্টেফসিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে প্রায় ১৯ মাস এই ক্যাপসুল নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। গবেষণার সময় জার্মানির ইটারনা জেন্টারিস কোম্পানির তৈরি মিল্টেফসিন ক্যাপসুল রোগীদের খাওয়ানো হয়েছিল, যা থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক ফল পেয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি শুরুর দিন থেকে রোগীদের পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি মিল্টেফস ক্যাপসুল দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, চার মাস এ রকম একটি ‘বিতর্কিত’ ক্যাপসুল দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ায় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি শুরুতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।
জানা গেছে, ওষুধটি তৈরির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকায় পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছ থেকে ক্যাপসুলটি কেনার ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক আপত্তি করেছিল।
যেভাবে কেনা হলো প্রশ্নবিদ্ধ মিল্টেফস
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা· মোয়াজ্জেম হোসেন প্রথম আলোকে জানান, কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি শুরুর আগে তাঁর দপ্তর থেকে ৫০ মিলিগ্রামের চার লাখ এবং ১০ মিলিগ্রামের দুই লাখ মিল্টেফসিন ক্যাপসুলের চাহিদা দেওয়া হয়।
সূত্রমতে, ক্যাপসুলটি কেনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের বরাত দিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক মানবজমিনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণের যোগ্যতার শর্তে বলা হয়, দরপত্রে অংশ নিতে আগ্রহী কোম্পানির ওষুধটি তৈরির ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নির্ধারিত সময়ে দুটি কোম্পানি দরপত্রের শিডিউল কিনে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে জমা দেয়। কোম্পানি দুটি হচ্ছে জার্মানির ইটারনা জেন্টারিস এবং বাংলাদেশের পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এরপর ওষুধ কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য সেগুলো বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কারণ ওষুধটি কেনার জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষ তখন পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছ থেকে ওষুধ কেনার ব্যাপারে আপত্তি জানায়। আপত্তির কারণ, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী মিল্টেফসিন ক্যাপসুল তৈরির দুই বছরের অভিজ্ঞতা পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের ছিল না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ঔষধাগার এই আপত্তি মানতে রাজি না হওয়ায় বিশ্বব্যাংক ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে দরপত্র স্থগিত হয়ে যায়।
পরে গত ১৫ মে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ৫০ মিলিগ্রামের চার লাখ এবং ১০ মিলিগ্রামের দুই লাখ মিল্টেফসিন ক্যাপসুল কেনার জন্য একই পত্রিকায় পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এবার আর সংশ্লিষ্ট ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে আগ্রহী কোম্পানির দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত দেওয়া হয়নি। আবারও শিডিউল কিনে জমা দেয় পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং কার্যাদেশও পায়।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ইতিমধ্যে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৭০০ মিল্টেফস ক্যাপসুল পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছ থেকে কিনেছে। এ বাবদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট কতৃêপক্ষের কাছে সরকারের তহবিল থেকে পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬০০ টাকা ন্যস্ত করা হয়েছে। আর পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৪১২টি ক্যাপসুল কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সরবরাহ করেছে। এ তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
এ ব্যাপারে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদেরের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ‘তিনি ব্যস্ত আছেন, এখন কথা বলা সম্ভব নয়।’ পরে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (সংগ্রহ) ডা· শহীদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কী পরিমাণ মিল্টেফস ক্যাপসুল কেনা হয়েছিল, তা তাঁর জানা নেই। তবে সম্প্রতি ক্যাপসুলটির কার্যকারিতার ব্যাপারে সংশয় দেখা দিলে সেটি আর কেনা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকঢোল পিটিয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন
গত ৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশালে আনুষ্ঠানিকভাবে কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস বিনামূল্যে ১০ মিলিগ্রামের ৬০০ ও ৫০ মিলিগ্রামের ১২৬টি ক্যাপসুল কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সরবরাহ করে। তবে কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি প্রকল্পের উপ-কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ডা· ফরিদা নাহার বেগম প্রথম আলোকে বলেন, উদ্বোধনের সময় তাঁরা প্রায় আড়াই শ মিল্টেফস ক্যাপসুল পেয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, নির্মূল কর্মসূচি শুরুর দিন থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৮৭ জন রোগীকে মিল্টেফস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের রোগী হিসেবে ২২৭ জন ক্যাপসুলটি খাওয়ার কোর্স সম্পন্ন করে। এর বাইরে এসব হাসপাতালে ১৩৯ জনকে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জনকে ভর্তি রোগী হিসেবে ক্যাপসুলটি খাওয়ানো হচ্ছিল। তা ছাড়া বগুড়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন রোগী এই ক্যাপসুল খাওয়ার কোর্স সম্পন্ন করে। সূত্রের ভাষ্যমতে, কোর্স সম্পন্নকারী রোগীদের চিকিৎসা-পরবর্তী পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাদের সবারই পুনরায় জ্বরসহ কালাজ্বরের অন্যান্য লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ক্যাপসুল খাওয়ানো বন্ধ হলো যেভাবে
সূত্র মতে, গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কালাজ্বর-বিষয়ক টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি সভায় মহাপরিচালক এম এ ফয়েজ জানান, কানাডার পেলাডিন ল্যাবরেটরি পপুলারের মিল্টেফস ক্যাপসুল পরীক্ষা করে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ক্যাপসুলটিতে মিল্টেফসিনের কোনো উপাদান নেই। এই সভার পরই রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা· মোয়াজ্জেম হোসেন রোগীদের মিল্টেফস ক্যাপসুল খাওয়ানো বন্ধ করতে তাৎক্ষণিকভাবে ফ্যাক্সযোগে এবং চিঠির মাধ্যমে ময়মনসিংহসহ কালাজ্বরকবলিত বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনকে জানান।
এ ব্যাপারে ডা· মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পপুলারের ক্যাপসুলটি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার পর রোগীদের ব্যাপারে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। যে কারণে সেটি বন্ধ করে দিয়ে স্টিবাটিন ইনজেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘পপুলারের ক্যাপসুলটির নমুনা পরীক্ষার জন্য আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পাঠিয়েছি। তা ছাড়া ইউরোপের একাধিক ওষুধ পরীক্ষাগারেও তা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ডের ্লটারভার্ট হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে ক্যাপসুলটির ব্যাপারে যে প্রতিবেদন এসেছে তাতে বলা হয়েছে, ক্যাপসুলটিতে মিল্টেফসিনের কোনো উপকরণ নেই। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনটির জন্য অপেক্ষা করছি।’
ডা· মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত কোনো ওষুধ পরীক্ষাগারে যেন পপুলার তাদের ক্যাপসুলটি পরীক্ষা করায় এ মর্মে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
পপুলারের বক্তব্য
পুরো বিষয় নিয়ে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার ডা· পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, চীনের তিনটি কোম্পানির কাছ থেকে তাঁরা ওষুধটির মূল উপকরণ কিনেছিলেন। যথানিয়মে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওষুধ প্রশাসন চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল তাদের মিল্টেফস ক্যাপসুল দুটির নিবন্ধন দেয়। ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গত ৩১ আগস্ট প্রস্তুত করা মিল্টেফসিন ক্যাপসুল দিয়ে কালাজ্বরের রোগীদের চিকিৎসার ফলাফলের এক সারণি তুলে ধরে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের ক্যাপসুলে যদি মিল্টেফসিনের কোনো সক্রিয় উপাদান না থাকে, তাহলে আমাদের ক্যাপসুল দিয়ে কোর্স সম্পন্নকারী ২১৫ জন রোগীর মধ্যে ১৪৬ জনের উন্নতি হলো কী করে?’ তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের ক্যাপসুল পরীক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত সিঙ্গাপুরের একটি পরীক্ষাগারে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। শিগগিরই নমুনা পাঠানো হবে।
উল্লিখিত সারণি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা· মোয়াজ্জেম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই সারণির ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। তাহলে কেন ক্যাপসুলটি বন্ধ করা হলো? জবাবে তিনি বলেন, কালাজ্বর-বিষয়ক টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটির সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই একমত পোষণ করেন যে, হাসপাতালে ভর্তি করার কারণে দরিদ্র রোগীরা বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাওয়ার সুযোগ পায়। যে কারণে সাময়িকভাবে তাদের শারীরিক দুর্বলতাসহ কালাজ্বরের অন্যান্য লক্ষণ কমে যায়। সারণিটি এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি। তাঁর মতে, হাসাপাতাল ত্যাগের পর যখন স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে রোগীদের বাড়ি বাড়ি তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়, তখন দেখা যায় রোগীদের আবার জ্বর এসেছে।
জানা গেছে, মিল্টেফসিন কেনার ব্যাপারে কী কী অনিয়ম হয়েছে, তা তদন্ত করতে দিন দশেক আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে।
বিদেশি পত্রিকায় খবর
নেদারল্যান্ডের দ্য ্লটারভার্ট হাসপাতালে পপুলারের তৈরি দুটি মিল্টেফস ক্যাপসুল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। একটি ১০ মিলিগ্রামের (ব্যাচ নম্বরঃ এসএফডি ১২, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ জুন ২০১০), অন্যটি ৫০ মিলিগ্রামের (ব্যাচ নম্বরঃ এসএফডি ১৩, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ জুন ২০১০)। হাসপাতালটির দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্যাপসুল দুটি পরীক্ষার পর মতামত দেন যে, ক্যাপসুল দুটিতে মিল্টেফসিনের কোনো সক্রিয় উপাদান নেই। এই মর্মে গত মাসের শেষ সপ্তাহে দেশটির দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ০৮, ২০০৮
Leave a Reply