নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসা। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে কোনও রোগীর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা করার পর দেখা গেল পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অথচ দিন কয়েকের মধ্যেই প্রবল হতে থাকছে করোনার উপসর্গ। বর্তমানে এই ‘ফলস নেগেটিভ’ রিপোর্ট নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
ভাইরাসটি কি এমন কোনও মিউটেড ফর্ম তৈরি করছে যা RT-PCR কে বোকা বানাচ্ছে? কিছু মিডিয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবী করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ভারতে যে সব RT-PCR পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলো SARS-CoV-2 ভাইরাসের ব্রিটেন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ডাবল মিউট্যান্ট ভেরিয়েন্টগুলিকে ধরতে পারছে না এমন নয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক মহামারী বিশেষজ্ঞ ড. রমন গঙ্গাকেদকরও এই কথার সমর্থন করেছেন। তিনি অবসর নেওয়ার আগে ভারতীয় মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মিউট্যান্ট তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও এমন কোনও তথ্য বা গবেষণা পাওয়া যায়নি যা RT-PCR পরীক্ষায় ধরা পড়বে না। কিন্তু এনিয়ে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে যে নমুনা সংগ্রহের ধরণ পরীক্ষার উপর প্রাব ফেলতে পারে।
বায়োসায়েন্সের অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্টদের প্রধান ড. সহিদ জামিলও এই ধারণার সঙ্গে একমত। তিনি বলেছেন, “সোয়াব সংগ্রহের জন্য অনেককে পাঠানো হচ্ছে। তারা বেশিরভারই সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত নন। আর সেটাই আমার উদ্বেগের কারণ। এর জন্যই জিনিস ভুল হয়ে যায়।” পরীক্ষায় সময় নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ সংক্রমণের চক্রের খুব আগে বা খুব দেরিতে পরীক্ষা করান, তবে পরীক্ষায় তা ধরা পড়বে না। এটি ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট আসার আরও একটি কারণ হতে । বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রামিত কোনাও ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সেই ব্যক্তি একবার মাত্র হাঁচি বা কাশির সাহায্যে কোভিড ছড়াতে পারে। তাই মাস্ক এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ। ড. ত্রিপত্তি গিলিদার মতে, কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার ২ থেকে ১০ দিন আগে যদি কেউ তাঁর সংস্পর্শে আসে তবে তারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-04-17 12:35:21
Source link
Leave a Reply