কাজ আরও ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছেন। আরও ভ্যাকসিন প্লান্ট চালু করে তারা
জানিয়েছেন যে, সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যাকে টিকাদানের আওতায় আনার জন্য পর্যাপ্ত
টিকা তৈরি করতে প্রায় জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত গড়িয়ে যাবে। তবে স্বল্প আয়ের
দেশগুলি এখনও এই টিকাদানের লাইনে পিছনে পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে ভিওএর সংবাদদাতা স্টিভ বাড়াগোনা তার এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে দুর্লভ
টীকাগুলির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করে অনেক মানুষ যথেষ্ট বিরক্ত এবং সেই কারণেই
কভিড ১৯ ভ্যাকসিন বাজারে সরবরাহের কাজ আরও দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা
উপলব্ধ হয়েছে। তবে ওষুধ সংস্থার আধিকারিকরা মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসকে
বলেছিলেন যে, তারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে এক বড় উপায়ে।
ফাইজার চিফ বিজনেস অফিসার জন ইয়ং বলেন, “আমরা আরও বেশি লোককে আরও দ্রুত টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়েছি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করেছি।” সংস্থাটি উৎপাদন বাড়ানোর এবং একট উৎপাদন লাইন যুক্ত করেছে।জন ইয়ং আরও বলেন, “এই উন্নতির ফলস্বরূপ, আমরা ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ ডোজ শুরু করে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে প্রা্য় ১ কোটি ৩০ লক্ষ ডোজ উৎপাদন করতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি।”
মডারনার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হোগ কংগ্রেসকে বলেছিলেন যে, তাঁর সংস্থাতেও উৎপাদন অনেক বেড়েছে।তিনি বলেন, “আমরা ২০২০ সালের শেষের দিকে আমাদের মাসিক বিতরণ দ্বিগুণ করেছি এবং এগুলি আবার দ্বিগুণ করে বেশী মাত্রায় অর্থাৎ ৪ কোটি করে ডোজ উৎপাদন করার প্রত্যাশা করছি।”
জুলাইয়ের শেষের দিকে, দুটি সংস্থা একত্রে ৬০ কোটি ডোজ সরবরাহ করার প্রত্যাশা করছে, যা দুটি ডোজ দিয়ে ৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
তৃতীয় একটি ভ্যাকসিন খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে। জনসন এবং জনসনের এই ভ্যাকসিনের কেবল একটি ডোজ নিলেই হবে। ফাইজার এবং মডারনার ভ্যাকসিনগুলির মতো এটি অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় রাখারও প্রয়োজন হবে না। এটি গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর হবে- অন্য দুটির তুলনায় কিছুটা কম কার্যকরী হলেও এটি খুব ভাল কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম মোস। মিঃ উইলিয়াম মোস বলেন, “যদি এই ভ্যাকসিনের একটি মাত্র ডোজ নিলেই কাজ হয়, এবং কেবলমাত্র রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়, তবে এটি অনেক দেশের পক্ষে খুবই সুবিধিজনক হবে।”
শুক্রবার, ২৭শে ফেব্রুয়ারি, জনসন এবং জনসনের ভ্যাকসিনের শুনানি হবে, অনুমোদনের আগে কিন্তু এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও অনেক দেশকে এই ভ্যাকসিনগুলির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির স্বাস্থ্য ইউনিটের প্রধান মেসফিন তেসেমা বলেছেন, সংস্থাগুলি উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে, তবে তিনি বলেন, “যদিও এই ঘোষণাটি স্বাগত জানানোর মতো একটি সংবাদ, তবে নিম্ন-আয়ের দেশগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন ২০২১ বা ২০২২ এর শেষের দিকে উপলব্ধ হতে পারে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সমর্থিত কোভাক্স কার্যক্রমে ফাইজার এই বছর স্বল্প আয়ের দেশগুলির জন্য ৪ কোটি ডোজ বিক্রি করেছে। জনসন ও জনসন বিক্রি করেছে ১০ কোটি । আরও টীকা আসছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সারা বিশ্বের ৭ হাজার ৮০০ কোটি মানুষের কাছে টীকা পৌঁছাতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক ভ্যাকসিন কারখানার প্রয়োজন হবে।
স্বাস্থ্য – ভয়েস অব আমেরিকা
2021-02-28 07:04:07
Source link
Leave a Reply