নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন দোকানে এখনো বিক্রি হচ্ছে চীন থেকে আমদানি করা ইয়াশলী-১, ইয়াশলী-২ ও সুইট বেবি ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ। গতকাল সোমবার নগরে চালানো এক অভিযানে এ দুই ব্রান্ডের আরও কিছু গুঁড়ো দুধ জব্দ করা হয়।
বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে মাননিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন ছাড়াই সানকেয়ার ও ইয়াশলী কোম্পানির গুঁড়ো দুধ দেশে বাজারজাত করে দুটি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকার অলওয়ে ট্রেডিং কোম্পানি ইয়াশলী ব্র্যান্ড এবং মৌ এন্টারপ্রাইজ সুইট বেবি ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধ বাজারজাত করেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট সনজীদা শরমিন প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াশলী ও সুইট বেবি ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ যাতে কেউ বিক্রি করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গতকাল সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল আগ্রাবাদ এলাকার লাকী প্লাজা, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট, হাজীপাড়া ও জিইসি মোড় এবং খুলশী এলাকার ১৫টি দোকানে অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট সনজীদা শরমিন। এ সময় বিএসটিআই পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন এবং পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
অভিযানে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের আরিফ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ছয় কৌটা ইয়াশলী ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর মধ্যে তিন কৌটা ইয়াশলী-১ ও তিন কৌটা ইয়াশলী-২ ব্র্যান্ডের। বিএসটিআই অনুমোদনহীন এ গুঁড়ো দুধ বিক্রি করার অপরাধে এ দোকানের মালিক মোঃ জাকারিয়াকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় দোকান মালিক মোঃ জাকারিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন যে পত্রিকায় এ ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা তিনি জানতেন।
এ ছাড়া হাজীপাড়া শামস স্টোর থেকে সুইট বেবি ব্রান্ডের দুই কৌটা গুঁড়ো দুধ জব্দ করা হয়। চীন থেকে আমদানি করা এ গুঁড়ো দুধ বিক্রি না করার জন্য দোকানিকে সতর্ক করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যেক দোকানিকে এ দুই ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধ বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করে দেন। এ সময় জিইসি মোড়ের কামাল স্টোরের কর্মী সুমন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকার বিষয়টি জানার পর তাঁরা ইয়াশলী ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধ দোকানে রাখছেন না।
সূত্রঃ প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০০৮
Leave a Reply