মন ঠিক রাখার জন্য সুস্থ রাখতে হবে শরীরটাকে। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে যত ধরনের শরীরচর্চা রয়েছে, এর মধ্যে সাঁতারের কোনো জুড়ি নেই। সাঁতার আমাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। তবে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে নামার জন্য কিছু প্রস্তুতি দরকার। ঢাকার ধানমন্ডি মহিলা কমপ্লেক্সের সাঁতারের প্রশিক্ষক পুতুল রানী ঘোষ বলছিলেন, সাঁতারের জন্য সুইমিং পুলে নামার আগে হালকা শরীরচর্চা, দৌড়াদৌড়ি করা উচিত। সাঁতারের পোশাক হতে হবে চাপা। চোখে থাকবে পানিতে নামার চশমা। মাথার ‘শাওয়ার ক্যাপ’ দিয়ে কান ঢেকে রেখে পানিতে নামা উচিত। কানে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। পোশাকের রং অবশ্যই সাদা বাদে যেকোনো উজ্জ্বল রঙিন পোশাক হতে হবে। সাঁতারের আগে ও পরে গোসলের অভ্যাস থাকলে সাঁতারের জন্য সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
নিয়মিত সুইমিংপুলে সাঁতার কাটলে ত্বকের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য অবশ্য সাঁতারকে দোষ দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন সুইমিং পুলে ব্যবহূত ক্লোরিন আমাদের ত্বককে রুক্ষ করে দেয়। ত্বককে কালো করে দেয়। মাঝেমধ্যে ত্বকে অন্যান্য অসুস্থতাও দেখা দেয়। এলিগেন্স হেয়ার অ্যান্ড বিউটির কর্ণধার নীপা মাহবুব বলছিলেন, খোলা আকাশের নিচে সাঁতার কাটার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দরকার। সানস্ক্রিন হতে হবে পানিরোধী এবং এসপিএফের পরিমাণ থাকতে হবে ১৫ থেকে ওপরে। সাঁতারের পর দ্রুত গোসল করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, পানি যাতে শরীরে বসে না যায়। যেহেতু পানিতে বিপুল পরিমাণ ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়, তাই চুলকে যতটা সম্ভব পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ব্যবহার করা যেতে পারে শাওয়ার ক্যাপ। নইলে সাঁতারের পরপর ভালো করে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকের কালো ছোপের জন্য নিয়মিত পারলারে ‘ফেয়ার পলিশ’ করানো যেতে পারে। নয়তো বাসায় স্ক্রাব দিয়ে মুখ ধুয়ে লোশন দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। সবশেষে ভালো কোনো প্যাক লাগিয়ে নেওয়া হলে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে কালো দাগ। যাদের ত্বকের জটিল সমস্যা আছে তাদের ত্বকবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। শিশুদের ত্বকের জন্য সাঁতারের পর ভালো করে গোসল করিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগানোই যথেষ্ট। সাঁতারের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণের খোঁজ মিলবে বিভিন্ন স্পোর্টস জোন, নিউমার্কেটের দোতলায়।
শিখতী সানী
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৯
Leave a Reply