ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু তার সঙ্গে থাকে হাজারো কাজ। হই-হুল্লোড়, আতিথেয়তা আর একের পর এক দাওয়াত। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধকল যায় হাতের ওপর দিয়েই। ফলাফল হাত দুটোর কাহিল অবস্থা, অমসৃণ হয়ে যাওয়া এবং অসুন্দর দেখানো। এ সময় তাই দরকার হাতের বিশেষ যত্ন। এলিগেন্স হেয়ার অ্যান্ড বিউটির কর্ণধার নীপা মাহবুব জানালেন কীভাবে নেবেন হাতের যত্ন।
প্রথমেই বলব, হাত দুটোকে যতটুকু সম্ভব বিশ্রাম দিতে হবে। সারা দিন আতিথেয়তা, ধোয়া-মোছা, রান্নার কাজ করতে হয়েছে। তাই এখন অন্তত কিছুটা সময় হাতের একটু যত্ন নিতে হবে। জানালেন নীপা মাহবুব।
অতিরিক্ত কাজ করার ফলে বেশির ভাগ সময় হাত ব্যথা করে। তাই কিছুক্ষণের জন্য হলেও হাত দুটোকে কাজ করা থেকে বিরত রাখুন। এ ছাড়া পানি ও সাবানের বেশি ব্যবহার হলে হাতের ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে ওঠে। হালকা ম্যাসাজও করতে পারেন। উপকার পাবেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ম্যানিকিওর করতে পারেন, এর জন্য কুসুম গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখুন। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ক্ষারবিহীন তরল সাবান বা শ্যাম্পু। এরপর হাতে পছন্দ অনুযায়ী কোনো লোশন লাগান। দুই থেকে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে হাতের ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে আসবে। ফলে ধীরে হলেও ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে।
অনেক সময় সাবানের পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখলেও পরিষ্কার মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে স্ক্রাব দিয়ে হাতটি ঘষতে পারেন। মুখে ব্যবহার করা হয় এমন স্ক্রাবই চলবে। এটি একই সঙ্গে হাত নরম করবে এবং ময়লা ওঠাতে সাহায্য করবে।
উজ্জ্বল দেখাতে হাতে লাগাতে পারেন কোনো একটি প্যাক। উপটান, মুলতানি মাটি অথবা চন্দনের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো না থাকলেও অসুবিধা নেই। কমলা অথবা আঙুর দিয়েও এ কাজটি হবে। আর কিছু না হোক লেবু তো আছেই ঘরে। লেবু ব্যবহারে হাতের সঙ্গে নখের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। নখের হলুদ দাগ ওঠাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। এ জন্য এক টুকরা লেবু ধীরে ধীরে নখে ঘষুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে হাত ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া-মোছা করার সময় গ্লাভস পরুন। এতে হাতের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে, নখ ভাঙারও ভয় থাকবে না।
* মাঝেমধ্যে আঙুল ম্যাসাজ করুন। আরাম বোধ করবেন।
* কাজ করার সময় যতটা সম্ভব নখগুলো বাঁচিয়ে চলুন। এতে খোঁচা কম লাগবে।
* নখগুলো নিয়মিত ফাইল করতে হবে।
* ঘরের কাজ যাঁদের বেশি করতে হয়, তাঁরা নখ ছোট রাখলেই ভালো।
রয়া মুনতাসীর
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৯
Leave a Reply