হরমোন
আমার বয়স যখন ১৩ বছর, তখন আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছিল। এখন আমার বয়স ১৫। আমার পিরিয়ডের শুরুর কয়েক মাস পর তা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। গত বছর আমি একজন গাইনি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে হরমোন, হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়ে সমস্যা পেয়েছিলেন। এরপর তিনি আমাকে ওষুধ দিয়েছিলেন। করোনার কারণে এ বছর তাঁর কাছে আর যাওয়া হয়নি। এখন আমার ওষুধ না খেলে মাসিক হয় না। কীভাবে এ রোগ সারবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: কৈশোরে সাধারণত পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রম বা সাবক্লিনিক্যাল হাইপথাইরয়েড ইত্যাদি হরমোনের কারণে এমন হয়ে থাকে। হরমোন পরীক্ষায় কী সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল তা উল্লেখ করেননি। ওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে। নির্দিষ্ট হরমোনের সমস্যার সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। থাইরয়েড, প্রলেকটিন, টেস্টোস্টেরন ইত্যাদি হরমোন পরীক্ষা করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ,
সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
দাঁত
আমার বয়স ২১ বছর। আগে দাঁতের কোনো সমস্যা না থাকলেও ইদানীং চোয়ালের প্রথম দুটি দাঁত খুব শিরশির করছে, সঙ্গে সামান্য ব্যথা। লক্ষ করছি, দুই দাঁতের মধ্যে হালকা ফাঁকের সৃষ্টি হয়েছে। টুথপেস্ট বদলে অন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করছি। হয়তো সে কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় এড়াতে কী করতে পারি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: অসম বা অস্বাভাবিক কামড় থেকে দাঁতে দাঁত ঘষা লাগার কারণে দাঁতের প্রতিরক্ষা আবরণ ক্ষয় হলে শিরশির ও ফাঁকা হতে পারে। মেডিকেটেড বিশেষ কোনো টুথপেস্ট দন্ত চিকিৎসকের (ডেন্টিস্ট) পরামর্শে ব্যবহার করা নিরাপদ। তিনি প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করে দাঁতের সঙ্গে দাঁতের স্বাভাবিক অবস্থান ফিরিয়ে আনতে অর্থোডেন্টিক চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন। অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা আবরণকে ফিলিংয়ের মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব। আর মজ্জা আক্রান্ত হলে রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজন পড়তে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. মো. আসাফুজ্জোহা, রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা
নাক কান গলা
আমার নাকে মাংস বেড়েছে। স্বাদ নিতে একটু কষ্ট হয়, মাঝেমধ্যে নাকে গন্ধ পাই। আমার কোনো সর্দি নেই। কিন্তু কফ একটু বেশি আর থুতুও একটু বেশি বের হয়। কী করতে পারি?
শরিফুল ইসলাম
উত্তর: আপনি প্রতিদিন ৩-৪ বার গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। শ্বাসের ব্যায়ামও আপনার উপকারে আসবে। মুখ বন্ধ রেখে নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ফেলুন। এভাবেই সব সময় শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর থুতু বের হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। কারও কম হয়ে থাকে, কারও বা একটু বেশি। খুব বেশি থুতু বের হচ্ছে বলে মনে হলে কিছুক্ষণ পরপর অল্প করে পানি খাবেন। এ ছাড়া মুখে লবঙ্গ, এলাচি বা দারুচিনি রাখতে পারেন। এ ছাড়া কিছুদিন গ্যাসের ওষুধ সেবন করতে পারেন। এসব বিষয় মেনে চলার পরেও কফের সমস্যা দূর না হলে একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন, শ্বাস এবং থুতু বেশি হওয়ার সমস্যা সমাধান না হলে একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দিন খান, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, নাক কান গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
প্রথম আলো, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply