শীতের সময়ে আরও বেশি সাবধান থাকা প্রয়োজন।
এমনিতেই শীতের সময় অনেকের ঠাণ্ডা কাশি লেগে থাকে। তার ওপর এই করোনাভাইরাসের সময়ে আরও সাবধান থাকা উচিত। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে ঠাণ্ডায় কোভিড-১৯’য়ের প্রকোপ বাড়তে পারে।
তাই সচেতন থাকা ও নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল।
ঘন ঘন ঠাণ্ডা কাশি: প্রাপ্ত বয়স্কদের বছরে দুএকবার ঠাণ্ডা কাশি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, যদি ঘন ঘন এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগা নানান সমস্যা যেমন- নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিসের লক্ষণও হতে পারে। তাই দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ধীর আরোগ্য: শীতের কেবল সাধারণ অসুখ বিসুখ নয় এর সঙ্গে অন্যান্য অসুখ হওয়া ও তা নিরাময়ে বেশি সময় লাগা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ধরনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে।
পেটের সমস্যা: দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম লক্ষণ হল পেটের নানা রকম সমস্যা যেমন- গ্যাস সৃষ্টি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।
পরিপাকতন্ত্রে এমন কিছু অণুজীব থাকে যা শরীর ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সহায়তা করে। দেহে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
দুর্বলতা: রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। এরপরও যদি ক্লান্ত অনুভূত হয় তাহলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে তা শক্তির ওপরেও প্রভাব ফেলে। এতে সারাক্ষণই দুর্বলভাব দেখা দেয়।
মানসিক চাপ: দুশ্চিন্তা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম লক্ষণ নয়। তবে এই সমস্যা প্রতি নিয়ত দেখা দিলে তা নিয়ে ভাববার আছে। দুশ্চিন্তা শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা কমায় যা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণ। তাই দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
বিডিনিউজ২৪
Leave a Reply