প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে না পারা, প্রস্রাব লাগলে সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে ছোটার প্রয়োজনীয়তা, হাঁচি, কাশি বা সামান্য চাপে হঠাৎ প্রস্রাবের ফোঁটা বেরিয়ে আসা নারীদের এই সমস্যা অনেক ভোগায়; বিশেষ করে সন্তান প্রসবের পর পেলভিসের পেশি দুর্বল হয়ে পড়লে বা জরায়ু নিচে নেমে এলে। কিন্তু এ ধরনের সমস্যা পুরুষদেরও হয়। একটু বয়স্ক পুরুষেরা এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়েন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা হয় প্রস্টেটগ্রন্থি বড় হয়ে মূত্রথলিতে চাপ দেওয়ার কারণে। অনেক সময় স্নায়ুগত কারণে মূত্রথলির ধারণক্ষমতায় বা সংবেদনশীলতায় সমস্যার কারণেও এমনটি হয়। এ সমস্যার কারণে অনেক সময় ৫০-ঊর্ধ্ব পুরুষেরা অফিসে, বাইরে কর্মক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কী করবেন?
এক. চা, কফি, কোমল পানীয়, অ্যালকোহল সমস্যা বাড়াবে। বিশেষ করে বাড়ির বাইরে এসব এড়িয়ে চলাই ভালো।
দুই. প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বাথরুমে গিয়ে মূত্রথলি খালি করুন। অনেকক্ষণ প্রস্রাব জমিয়ে রাখবেন না। মনে রাখবেন, প্রস্টেটের সমস্যায় হঠাৎ করে এ থেকে প্রস্রাব আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
তিন. ওজন কমান। অতিরিক্ত ওজন সমস্যা জটিল করে তুলবে।
চার. ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করুন। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ুবৈকল্য এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে।
পাঁচ. পুরুষদের যে প্রস্রাবে সংক্রমণ হয় না, তা নয়। প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণহীনতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, জ্বালাপোড়া, তলপেটে অস্বস্তি হলে প্রস্রাব কালচার করা উচিত।
ছয়. প্রস্টেটের সমস্যার চিকিৎসা নিন। নিয়মিত আপনার সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, বছরে একবার চেকআপ করুন। কখনো শল্যচিকিৎসার প্রয়োজনও হতে পারে।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮,
সূত্র – প্রথম আলো
arafat
খুব ভাল