অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে সচেতনতা সপ্তাহ চলছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা বা রেজিসট্যান্স যে হারে বাড়ছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে সুপার বাগ বা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ভয়ানক প্রাণসংহারী জীবাণুর কাছে মানুষের শোচনীয় পরাজয় ঘটবে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ও ভুল ব্যবহার, অতিব্যবহার আবার কখনো কম মাত্রায় ব্যবহার এই রেজিসট্যান্সের জন্য দায়ী। এ জন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীসহ সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে।
* মনে রাখবেন ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এটি কেবল ব্যাকটেরিয়াকে নাশ করতে পারে। আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছি; যেমন: ফ্লু, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, টনসিল বা গলনালির প্রদাহ, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি। এসব রোগে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। তাই জ্বর, কাশি, সর্দি হলেই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের জন্য ব্যতিব্যস্ত হবেন না। বিশেষ করে শিশুদের অভিভাবকেরা দ্রুত আরোগ্যের জন্য ডাক্তারকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে জোর করেন বা দোকান থেকে এমনিতেই কিনে আনেন। এটি ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনবে।
* অ্যান্টিবায়োটিক হতে হবে ওই সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট। যেমন: প্রস্রাবের সংক্রমণে যে অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে, তা আবার নিউমোনিয়ায় না-ও করতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হচ্ছে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা। টাইফয়েডের বা যক্ষ্মার মতো রোগের চিকিৎসার নামে দেশে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবস্থাপত্রে দেওয়া হচ্ছে, এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
* একটি অ্যান্টিবায়োটিক সম্পূর্ণ মাত্রায় সম্পূর্ণ মেয়াদে গ্রহণ করতে হবে। কয়েক দিন সেবনের পর জ্বর বা সংক্রমণ ভালো হতে থাকলে অনেকেই ছেড়ে দেন। আবার কেউ বয়স অনুযায়ী পূর্ণ মাত্রায় না খেয়ে আন্ডার ডোজ খান। কেউ আবার পুরো কোর্স সম্পন্ন না করে মাঝে মাঝে ছেড়ে দেন। এসবই ক্ষতিকর।
অধ্যাপক খাজা নাজিমুদ্দিন,
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সোর্স – প্রথম আলো।
rubayed
good