ঠোঁট রাঙাচ্ছেন রংয়ে! তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন লিপস্টিকের রং পেটে গিয়ে কী কী ক্ষতি করছে?
ঠোঁট রাঙানোর প্রসাধনীর নাম লিপস্টিক। বেশিরভাগ নারীর অত্যন্ত শখের প্রসাধনী। ঘরে বাইরে সবখানেই সঙ্গে থাকে, রং হালকা হয়ে গেলেই আবার ঠোঁট রাঙিয়ে নেন।
কেনো হালকা হয়ে যায়? কারণ নিজের অজান্তেই ঠোঁটের এই প্রসাধনী আপনি খেয়ে ফেলছেন প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। আর প্রিয় এই প্রসাধনীতে থাকা বিষাক্ত উপাদান পেটে যাওয়ার ফল হতে পারে মারত্বক।
স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে লিপস্টিকের ক্ষতির দিকগুলো এখানে দেওয়া হল।
* ‘ক্যাডমিয়াম’, ‘অ্যালুমিনিয়াম’সহ আরও কয়েক ধরনের ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয় লিপস্টিক, যা শরীরের বিপাকীয় রস ও অম্লের সঙ্গে মিশে বিষাক্ত হয়।
যদিও অসংখ্য গবেষণা ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান আশ্বাস দেয় যে, লিপস্টিকে ব্যবহৃত ধাতব উপাদান ক্ষতিকর নয়, তারপরও প্রমাণিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, বারবার ঠোঁটে লিপস্টিক মাখিয়ে রং ঝালিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ‘বিষ পান’ করা হয় অল্প অল্প করে।
‘এনভাইরোনমেন্টাল হেলথ পার্সপেক্টিভ (ইএইচপি)’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণায় এর প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডা. ক্যাথরিন হ্যামন্ড বলেন, “শিশুরা লিপস্টিক খাওয়া শুরু করলে বিষয়টা চিন্তার বিষয়। কারণ তার শরীরের ক্ষমতার তুলনায় বেশি মাত্রার ক্ষতিকর ধাতব উপাদান তার শরীরের প্রবেশ করছে।”
ইএইচপি’র করা ওই গবেষণা অনুযায়ী, অ্যালুনিয়াম ও অন্যান্য ধাতব উপাদানসমূহ, যা পরিমাণে দস্তার চাইতেও বেশি পরিমাণে লিপস্টিকে পাওয়া গেছে, সেগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। একজন সাধারণ নারী প্রতিদিন কতটা ধাতব উপাদান গ্রহণ করেন সেটাও জানান গবেষণার লেখক, যার পরিমাণ ২৪ মিলিগ্রাম।
* যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বলছে, লিপস্টিকে থাকা দস্তার পরিমাণ চিন্তিত হওয়ার মতো না হলেও দৈনিক যতবার এই লিপস্টিক ব্যবহার হয় সেটা একেবারে হেলাফেলা করার মতো নয়।
তাই দৈনিক লিপস্টিকের ব্যবহার একবার সর্বোচ্চ দুবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাই ভালো।
সোর্স – বিডিনিউজ২৪.
Leave a Reply