ব্যায়ামের রুটিন হতে পারে নানাভাবেই। হালকা ব্যায়াম বা ভারী ব্যায়াম, একেকজন একেকভাবে করেন। গবেষণা বলছে, একই সময়ে মিলিয়ে-মিশিয়ে ভারী আর হালকা ব্যায়াম করা হলে কিংবা ভারী ব্যায়াম আর বিশ্রাম হলে তা শরীরের জন্য ভালো। এতে ক্যালরি বেশি ক্ষয় সম্ভব; আবার এমনভাবে ব্যায়াম করলে নিয়মিত ব্যায়ামের ধৈর্যও রাখতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে ব্যায়ামের মাত্রা বারবার পরিবর্তন করে সব ধরনের ব্যায়াম করা যায়।
এক মিনিট হয়তো সর্বোচ্চ শক্তিতে ব্যায়াম করলেন। কিংবা গতি বাড়িয়ে দিলেন। পরের মিনিট বিশ্রাম নিন কিংবা হালকা গতিতে ব্যায়াম করুন। এরপরের মিনিট আবার সর্বোচ্চ শক্তিতে ব্যায়াম করলেন, তো পরের মিনিট আবার বিশ্রাম বা হালকা ব্যায়াম। এভাবে ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে ভারী ব্যায়াম হলো ১০ মিনিট; কিন্তু পুরো সময়ই আপনার জন্য উপকারী। একটানা ১০ মিনিট প্রচণ্ড শক্তিতে ব্যায়াম করলে আপনি যতটা উপকার পেতেন, এই নিয়মে ব্যায়াম করলে উপকার মিলবে তার চেয়ে বেশি।
আপনার শরীরের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে আপনি এই বিশ্রাম বা হালকা ব্যায়ামের সময়টুকু কমাতে-বাড়াতে পারেন। প্রতিদিন এ পদ্ধতির প্রয়োগ করতে না চাইলেও সপ্তাহে এক-দুদিন এই নিয়মে ব্যায়াম করতে পারেন। পার্কে দৌড়ানো, ট্রেডমিলে দৌড়ানো বা ওজন তোলা, যেকোনো ব্যায়ামেই করতে পারেন এ পদ্ধতির প্রয়োগ।
এভাবে ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুললে শরীরের চর্বি ঝরার পাশাপাশি মাংসপেশি গঠন হয়। ঘুমও ভালো হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এভাবে ব্যায়ামের গতি কম-বেশি করতে গিয়ে যেন আঘাত না লাগে। ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম আপ করে নিন, ব্যায়াম শেষে কুল ডাউন করুন। এ ছাড়া যাঁদের ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এভাবে ব্যায়াম করবেন না।
ডা. রাফিয়া আলম, স্কয়ার হাসপাতাল
সূত্র – প্রথম আলো।
Leave a Reply