একদম ছোট শিশুরা দাঁতের সমস্যার কথা বলতে পারে না। কিন্তু শিশুর দন্ত্যচিকিৎসকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হওয়া দরকার আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যেই। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এতে শিশুর মা-বাবাও শিশুর দাঁতের যত্ন সম্পর্কে জানতে পারেন।
শিশুর যখন প্রথম দাঁত ওঠে, তখন নরম কাপড় দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে।
যত দিন শিশু নিজে দাঁত ব্রাশ করতে পারবে না, তত দিন দৈনিক দুইবার, অর্থাৎ সকালে খাওয়ার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তার দাঁত ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে।
টুথব্রাশের মাথা হবে এক ইঞ্চি, হাতল হবে ছয় ইঞ্চি এবং ব্রিসল হতে হবে নরম।
শিশুকে সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে।
চকোলেট, চুইংগাম এড়িয়ে চলতে হবে। এর পরও যদি চকোলেট খেয়ে ফেলে, তবে তাকে ভালো করে কুলি করাতে হবে।
শিশুকে কখনো বোতলে দুধ, জুস বা মিষ্টিজাতীয় পানীয় খেতে খেতে ঘুমোতে দেওয়া ঠিক নয়।
শিশুর দাঁতে ক্ষয় বা কালো দাগ দেখা গেলে দ্রুত দন্ত্যচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
অনেক মা-বাবা মনে করেন, দুধদাঁত ক্ষয় হলে ফেলে দেওয়াই ভালো।
কিন্তু নির্দিষ্ট বয়সের আগে দাঁত ফেলে দিলে পরে দুই পাশের দাঁত দিয়ে ফাঁকা স্থানটি বন্ধ হয়ে যায়।
তখন নতুন দাঁত উঠতে বাধা পায় এবং আঁকাবাঁকাভাবে ওঠে।
আবার দুধদাঁত বেশি সময় ধরে থাকলেও নতুন দাঁত ওঠার জায়গা না পেয়ে এলোমেলোভাবে উঠতে পারে।
নতুন দাঁত উঠছে বুঝতে পারলে দেরি না করে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে যান।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর দাঁত ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
শিশুর দাঁতের যত্নে মা-বাবাই রোল মডেল হয়ে উঠতে পারেন। কারণ তাঁদের দেখে দেখেই শিশু নিজের দাঁতের যত্ন নিতে শেখে।
— ডা· শ্রাবন্তী তালুকদার
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৬, ২০০৮
Leave a Reply