কসমেটিক্স কাউন্টার তো মাত্র চালু হলো সেদিন। এর আগে জননী প্রকৃতি থেকে উপকরণ সংগ্রহ করেছে মানুষ রূপলাগি।
পরিচর্যা করেছে শরীরের। সেজেছে ফুল সাজে নব আনন্দে।
চর্চিত হয়েছে পেলব মুখমণ্ডল ফুলের পেলব, কোমল, মৃদু আঘাতে। ঘরের পেছনে সাজানো বাগান থেকে এসেছে রূপটানের সামগ্রী, রসদ।
এমন কিছু পরামর্শ আছে সবার জন্যঃ
ত্বকের গভীরে পরিচ্ছন্ন হোক সব। বড় একটি বাটিতে ভালো করে ধোয়া স্ট্রবেরি আধ কাপ, সমপরিমাণ কাঁচা দই বা টক দই মেশান ও বেটে নিন। স্ট্রবেরিতে রয়েছে স্যালিসেলিক এসিড যাতে ত্বক হয় মসৃণ ও টানটান এবং দুধজাত দ্রব্যে মৃদু অম্ল থাকাতে ত্বকের উপর নরম ও কোমল প্রভাব বিস্তার করে। এই মিশ্রণ মুখাবয়বে প্রয়োগ করুন, কয়েক মিনিট এভাবে রাখুন, এরপর ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আম ও পেঁপের মিশ্রণ লাগালেও একইরকম কাজ করে।
আর্দ্র হোক ত্বকঃ ময়েশ্চারাইজ করুন।
কয়েকটি লেবুর রস এবং এক বা দুই টেবিল চা চামচ বেবি ওয়েল শরীরে ঘষুণ। হাতের কণুই এবং হাঁটুতে ভালো করে লাগান।
তৈলাক্ত ত্বককে টোনিং করুনঃ
আছে টমোটো। টমেটোতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপেন। ত্বককে সতেজ রাখার জন্য এবং লোমকূপ পরিষ্কার করার জন্য উপযোগী।
টমেটোর নরম অংশের মণ্ড করে এর দুই টেবিল চামচ, এক টেবিল চামচ আটা বা বেসন মেখে পেস্ট তৈরি করো। এই মিশ্রণ মুখের উপর ১০ মিনিট এভাবে রেখে দিন।
এস্টিংজেন্ট তৈরি করার প্রণালীঃ তরমুজের একটি বড় ফালি এবং শশা থেকে রস তৈরি করুন এবং দুই টেবিল চামচ আমেরিকান গুল্ম উইচ হেজেলের রস যোগ করুন। সুতী বল দিনে মুখে প্রয়োগ করুন, সলুশন দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
চুল কনডিশন করা
সুন্দর কেশগুচ্ছ অর্জন করতে, বিণুনী বাঁধতে হলে আছে একটি সুন্দর কনডিশনার। প্রথমে অর্ধ কাপ তাজা গোলাপের পাপড়ির উপর এক কাপ উষ্ণ জল ঢালুন। জলে সিক্ত রাখুন। একটি ব্লেন্ডারে একটি মাঝারি আকারের কলা, বাকল ছাড়িয়ে ও ফালি করে রাখুন, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ বাদাম তেল (তৈলাক্ত চুলের জন্য) মিশিয়ে নিন। এতে যোগ করুন গোলাপের মিশ্রণ এবং মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত্য ব্লেন্ড করুন। এই মিশ্রণ চুলেও মাথার তালুতে ঘষে ঘষে মেশান, উষ্ণ টাওয়েল দিয়ে আবৃত করুন, এবং ২০-৩০ মিনিট রিলাক্স করম্নন। উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাকি যা থাকলো তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায় এক সপ্তাহ।
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ নভেম্বর ২০০৭
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· শুভাগত চৌধুরী
ডাইরেক্টর, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস,
বারডেম, ঢাকা।
Leave a Reply