গুলশান ২ নম্বর থেকে ১ নম্বরের দিকে একটু এগোলেই হাতের বাঁ পাশে পড়বে বুফে রেস্তোরাঁ ‘টপক্যাপি’। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের এক বিখ্যাত প্রাসাদের নাম ছিল টপক্যাপি। সেখান থেকেই এই রেস্তোরাঁটির নাম রাখা হয়েছে। ভেতরে-বাইরে দেখতে অনেকটা প্রাসাদের মতোই। খাওয়াদাওয়ার আয়োজনটাও রাজকীয় বলা হয়।
টার্কিশ দিয়ে শুরু
২০০১ সালে যখন শুরু হয়, তখন নামের মতো খাবারের পদগুলোও ছিল টার্কিশ। কিন্তু টার্কিশ খাবারগুলো ফরমায়েশ দেওয়ার পর তৈরি করতে করতে ৪৫ মিনিটের মতো সময় লাগত। অনেকেই এই অপেক্ষাটা করতে চাইতেন না। খেতে বসে যেন দেরি না হয়, এ ভাবনা থেকেই টপক্যাপিতে শুরু হয় বুফে আইটেম। সেটা ২০০৫ সালের কথা। তবে আপনি চাইলে এখনো টার্কিশ খাবার অর্ডার দিতে পারবেন—থাই, ইন্ডিয়ান খাবারও আছে এ তালিকায়।
খাবারের সাতকাহন
‘খাবার অপচয় করবেন না, পারলে সব খেয়ে ফেলুন’—এ কথাই লেখা আছে টপক্যাপির বুফে টেবিলের সামনে। প্রায় ৪০ পদের খাবার সাজানো থাকবে এখানে। ইচ্ছামতো খাবার বেছে নিতে পারবেন। শুধু মুরগিরই থাকবে গোটা ছয়েক পদ, গরু-খাসির পদ তো আছেই। ছোট-বড় চিংড়ি, ক্র্যাবও আছে লোভনীয় তালিকায়। মাছ আছে হরেক পদের। এর মধ্যে সামুদ্রিক ক্যাটল মাছ, রূপচাঁদা থাকে।
সবজি, সালাদও থাকবে কয়েক পদের। আছে স্যুপও। নজর কেড়ে নিতে পারে গোটা রুই মাছের রান্না। দুপুরের বুফেতে দাম পড়বে ৪৩০ টাকা। আর রাতের বুফেতে দাম ৬০০ টাকা। দামের এই তারতম্যের কারণ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বললেন, দুপুরের দিকে ভর্তা, ডাল ইত্যাদি খাবার বেশি থাকে। অন্যদিকে রাতের বেলা রিচ ফুডের পরিমাণ থাকে বেশি। এ কারণেই দামের এ তফাত।
টার্কিশ, থাই ও ইন্ডিয়ান ধরনের বুফের বাইরেও আছে ৪২৯ পদের খাবার। চাইলে ইচ্ছামতো বেছে নিতে পারবেন মেন্যু থাকে। দাম নাগালের মধ্যেই।
রেস্তোরাঁটি দোতলা হলেও নিচতলাতেই থাকে মূল খাবারের আয়োজন। তবে বিশেষ অনুষ্ঠানে দোতলাও ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দুটি আলাদা কক্ষ আছে। সেখানে ২০-৩০ জনের ব্যক্তিগত পার্টি আয়োজন করতে পারবেন। একসঙ্গে ২০০ জন অতিথিকে খাবার সরবরাহ করতে পারবে টপক্যাপি। এ জন্য আলাদা কোনো চার্জ দিতে হবে না, শুধু খাবারের টাকা দিলেই চলবে। সঙ্গে বিনা মূল্যে পাবেন এর বিশাল গাড়ি রাখার জায়গা। একসঙ্গে ২৫টি গাড়ি রাখা যাবে।
পার্থ সরকার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০৯, ২০১১
Leave a Reply