আজকাল তরুণদের ফ্যাশন অনুষঙ্গে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে গান শোনার বিভিন্ন যন্ত্র। তাই গান শোনার নতুন নতুন যন্ত্রের দিকে এখন তরুণদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। বিনোদন তো বটেই, হাল ফ্যাশনেও এর কমতি নেই। রায়ানস আইটি লিমিটেডের বিজনেস ম্যানেজার এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, ‘গান শোনার ক্ষেত্রে গান ভালো শোনা যায় বা দেখতে চমকপ্রদ ও বিভিন্ন ব্রান্ডের গান শোনার যন্ত্রের দিকেই এখন তরুণদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ।’
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ফারহিন পছন্দ করেন এমন গান শোনার শৌখিন যন্ত্র। ‘এখানে-সেখানে যেতে গাড়িতে চড়তে হয়। রাস্তার জ্যাম বা হর্নের শব্দ তো রয়েছে, পাশাপাশি একঘেয়েমি কাটানোর জন্য এই গান শোনার যন্ত্র বেশ উপভোগ্য একটি মাধ্যম।’ বলছিলেন সুমাইয়া ফারহিন। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের গান শোনার যন্ত্র। এসবের কোনোটা দেখতে উজ্জ্বল রঙের হালকা-পাতলা গড়নের, কোনোটা আবার স্পর্শকাতর বা টাচস্ক্রিনযুক্ত। বিক্রেতারা জানান, দেখতে উজ্জ্বল রঙিন ও হালকা ধরনের যন্ত্রের দিকেই তরুণদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। এ ছাড়া কানে হেডফোন জুড়ে দিয়ে গান শোনার যন্ত্রকে পোশাকের সঙ্গেও মিলিয়ে পড়ছেন অনেক তরুণ।
ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিহান বলেন, ‘পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে মনটাকে একটু চাঙা রাখতে গান শুনতে হয়, এ জন্য গান শোনার যন্ত্রের বিকল্প নেই। মুঠোফোনে গান শোনার ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো কিছুটা ভারী ও নিরাপত্তার জন্য যেখানে-সেখানে বের করা যায় না। এ ছাড়া গানের প্রকৃত শব্দ সব মোবাইলে ভালো শোনা যায় না। তাই গান শোনার যন্ত্রের তুলনা হয় না।’ শুধু গান শোনাই নয়, বাজারের বিভিন্ন গান শোনার যন্ত্র দিয়ে ছবি-ভিডিওসহ নানা তথ্য হস্তান্তর করা যায়। এখনকার বিভিন্ন গান শোনার যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে এফএম রেডিও। এ জন্য কেবল এটি ফ্যাশনের মধ্যেই আটকে নেই, আছে প্রয়োজনের দিকটিও। আর প্রয়োজনের কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে গান শোনার যন্ত্রে তথ্য ধারণ করার ক্ষমতা কেমন, সে দিকটিও। এই চাহিদার জন্যই যন্ত্রগুলো হয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন ধারণক্ষমতার।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গান শোনার যন্ত্রের মধ্যে কিছু গান শোনার যন্ত্রকে আলাদা করা যায়, যেগুলো ফ্যাশন সচেতন তরুণদের জায়গা দখল করে নিয়েছে। এই যন্ত্রগুলোতে মিলছে গান শোনার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।
বিভিন্ন গান শোনার যন্ত্রের মধ্যে আছে অ্যাপলের আইপড ন্যানো আট গিগাবাইট। গান শোনার পাশাপাশি ভিডিওচিত্র ধারণ করা যায় আইপড ১৬০ গিগাবাইটের যন্ত্রে। এ ছাড়া আইপড টাচ ১৬ গিগাবাইট বাজারে পাওয়া যায়। বাজারে একই ব্র্যান্ডের গান শোনার যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই, আট ও ৩২ গিগাবাইট তথ্য ধারণ করার যন্ত্র। অ্যাপাসার, ট্র্যানসেন্ড ব্র্যান্ডের দুই, চার ও আট গিগাবাইটের গান শোনার যন্ত্র বাজারে মিলছে। রায়ানস আইটি লিমিটেডের বিজসেন ম্যানেজার এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, ‘মূলত এগুলোই আমাদের দেশে সহজে পাওয়া যায়।’ এ ছাড়া মাইক্রোল্যাব, সনি, ক্রিয়েটিভ প্রভৃতি চীনা ব্র্যান্ডের গান শোনার যন্ত্র বা এমপিথ্রি প্লেয়ার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গান শোনার বিভিন্ন যন্ত্র কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি, এলিফেন্ট রোডসহ বিভিন্ন বড় মার্কেট ও কম্পিউটারের দোকানে।
মোছাব্বের হোসেন
মডেল: শুভ ও নীরা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১১
Leave a Reply