রঙিন ঠোঁট। পুরো মুখে যতই নিখুঁত মেকআপ থাকুক না কেন, ঠোঁটজোড়ায় লিপস্টিক বা লিপগ্লস না দিলে সাজে কখনোই পূর্ণতা আসবে না। পুরো চেহারাই ফ্যাকাসে লাগবে। যুগ যুগ ধরে এ কথাটির মর্ম প্রত্যেক নারী বুঝে এসেছেন। এ কারণে কখনো তাঁরা পান খেয়ে লাল টুকটুকে করেছেন ঠোঁট, কখনো বা রঙিন কাগজের সাহায্য নিয়েছেন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে ঠোঁট রাঙানোর উপকরণ দেখে চমকই লাগে। এগুলোর শুরু আছে, শেষ নেই। এ সময়ের জনপ্রিয় লিপস্টিকের রং নিয়েই এবারের প্রতিবেদন। সাজে পরিপূর্ণতা আনতে লিপস্টিকের ব্যবহার খুবই দরকার। লিপস্টিক দিয়ে মেকআপে ভারসাম্য আনা যায়। মুখের পুরো সাজ খুব বেশি হয়ে গেলে লিপস্টিকটা হালকা করে দেওয়াই ভালো। চোখের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনেকে লিপস্টিকের রং নির্ধারণ করেন। ঠিক উল্টোটাও কিন্তু করা যায়। লিপস্টিকের রংকে প্রাধান্য দিয়ে চোখের সাজ করা যায়। এমনকি ঠোঁটজোড়া যদি ঠিকভাবে, সুন্দর করে, একটু অন্য রকম রঙে সাজানো যায়, সে ক্ষেত্রে চোখের সাজ না করলেও চলে যাবে।
যে দেশে যে রং
‘আমাদের দেশের মানুষের গায়ের রঙের ধরন হচ্ছে ওয়ার্ম টোন। সে ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি, কমলা, বাদামি, হালকা বেগুনি লিপস্টিকের রং বেশি মানানসই হয়।’ জানালেন রূপবিশেজ্ঞ ফারজানা শাকিল। লিপস্টিকে এ সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় রংগুলো হচ্ছে কমলা, বাঙ্গি ও জাম রং। লালের ক্ষেত্রে ফারজানা শাকিল বলেন, ‘লাল এমন একটি রং, যা কখনোই পুরোনো হয় না। এটি ক্লাসিক লুক তৈরি করে। যেকোনো বয়সে, যে কেউ এ রং ব্যবহার করতে পারেন।’
টুকটাক
লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। যে রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন, সে রঙেরই লিপলাইনার দেওয়া উচিত। না হলে দেখতে খারাপ লাগে। আপনাকে যে রংটি মানাচ্ছে সে রঙের লিপস্টিকই দেওয়া উচিত। যে রং আপনি বহন করতে পারবেন না, সেটা দূরে রাখাই শ্রেয়।
জায়গা অনুযায়ী রং বাছুন
ক্ষেত্রবিশেষেও লিপস্টিক ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। কখনোই জায়গার সঙ্গে মানাচ্ছে না—এমন রং ব্যবহার করা উচিত নয়। দেখতে বেমানান লাগবে। ‘অফিসের লুকে সব সময় পেশাগত ভাব থাকা উচিত।’ জানান ফারজানা শাকিল। কাজের জায়গায় হালকা রংই ব্যবহার করা ভালো। রাতের দাওয়াতে গ্লস লাগাতে পারেন, যদি আপনার লিপস্টিকের রং হালকা হয়।
লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী করতে
প্রথমে লিপস্টিক লাগান। ওপরে পাউডার দিন। এবার হালকা করে টিস্যু পেপার দিয়ে দুই ঠোঁটের মাঝে চাপা দিন।
রয়া মুনতাসীর
মডেল: নাবিলা
সাজিয়েছেন ফারজানা শাকিল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ০৩, ২০১০
Leave a Reply