সুন্দর নান্দনিক নকশার মেঝে বাড়িয়ে তোলে ঘরের সৌন্দর্য। কিন্তু প্রতিদিন হাঁটাচলা ও ব্যবহারের ফলে মেঝে হয়ে পড়ে অপরিচ্ছন্ন। এতে করে ঘরের সৌন্দর্য ম্লান হয়। তাই কীভাবে ঘরের মেঝে প্রতিদিন পরিচ্ছন্ন থাকবে এ বিষয়ে জানালেন ‘অন্দর সজ্জার’ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সাবিহা আক্তার।
সাধারণত বেশির ভাগ বাসার মেঝে মোজাইক দিয়ে তৈরি করা হয়। সে ক্ষেত্রে মেঝে প্রতিদিন পানি দিয়ে মোছার পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত একদিন লিকুইড ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আজকাল অনেকেই মেঝেতে টাইলস ও গ্রানাইটের ব্যবহার করে থাকে। সে ক্ষেত্রে একইভাবে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে।
যাঁদের বাড়িতে কাঠের মেঝে আছে, তাঁরা সপ্তাহে একদিন পানি দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করবেন। প্রতিদিন কাঠের মেঝে পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে এর রং উঠে যায় এবং কাঠ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
রান্নাঘরের মেঝে খুব তাড়াতাড়ি ময়লা হয়। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে মেঝে পরিষ্কার করলে মেঝের তেল চিটচিটে ভাব দূর হয়।
স্নানঘর ব্যবহারের পর মেঝে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
অফিসের মেঝে খুব তাড়াতাড়ি অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাই অফিস বা কর্মক্ষেত্রের মেঝে কিছুক্ষণ পরপর পানি দিয়ে মুছে নিতে হবে। এ ছাড়া অফিস বা কর্মক্ষেত্রের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করলে মেঝে দ্রুত নষ্ট হয় না।
অনেক সময় দেখা যায়, খাবার বা অন্য কিছুর দাগ মেঝেতে পড়লে সহজে উঠতে চায় না। সে ক্ষেত্রে তেঁতুলের পানি বা কামরাঙার রস দিয়ে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে মুছলে সহজেই দাগ উঠে যাবে।
বর্ষাকালে ঘরের কোণে নানা ধরনের পোকামাকড় বাসা বাঁধে। সে ক্ষেত্রে ছোট পাতলা কাপড়ে কালিজিরা রেখে পুঁটলি বেঁধে ঘরের কোনায় বা যেখানে পোকামাকড় বাসা বাঁধে সেসব স্থানে রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব দূর হবে।
বিপাশা রায়
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২৭, ২০১০
Leave a Reply