পরিচ্ছন্ন মুরগির বাজার সাধারণত মুরগির বাজারে গেলেই চোখে পড়ে নোংরা, অপরিচ্ছন্ন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে এখানেই বাজার সারতে হয় বিরক্তি নিয়ে। কিন্তু এসব বাজার যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতো, তাহলে ঝামেলা ছাড়াই বাজারটা করা যেত। ঢাকাসহ সারা দেশের বড় বড় মুরগির বাজারে যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মুরগি বিক্রি করতে ও কিনতে পারেন, সেদিকটি বিবেচনা করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান (এফএও) বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার নিউমার্কেট-সংলগ্ন বনলতা মুরগির বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর অংশ হিসেবে এ মুরগির বাজারের মেঝেতে বসানো হয়েছে টাইলস। প্রতিদিন বাজারটি ধোয়া হয়, যাতে কোনো ময়লা ও দুর্গন্ধ না হয়। এর পাশাপাশি জীবাণুনাশক উপাদান দিয়ে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি হ্রাস করা হচ্ছে। এসব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য বাজার কমিটির পাশাপাশি বিক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও কাজ করছে তারা। এফএও-এর পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, বার্ড ফ্লু রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায় এই মুরগির বাজারগুলোর মাধ্যমে। যদি বাজারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, তাহলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশ কমানো সম্ভব। এ লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করছেন। পাশাপাশি মানুষ যাতে একটি ভালো পরিবেশে মুরগি কিনতে পারেন, সেদিকটিও এখানে গুরুত্ব পাচ্ছে। এফএও ঢাকার মোহাম্মদপুর, গুলশান, কাপ্তানবাজারসহ মোট আটটি বাজারে এ রকম পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক কাজ করছে। এ ছাড়া সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় এ কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠনাটি। বনলতা মুরগির বাজারের বিক্রেতা বদিউজ্জামান জানান, বাজারটি আগের তুলনায় এখন অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। এতে মানুষ আগের থেকে অনেক ভালো পরিবেশে মুরগি কিনতে পারছেন এবং লোকজনের সংখ্যাও বাড়ছে। বনলতা মুরগির বাজারে এখন আপনিও চলে যেতে পারেন। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বাজারটি খোলা থাকে। পরিচ্ছন্ন আর খোলামেলা পরিবেশে সেরে নিন আপনার বাজার।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২০, ২০১০
Leave a Reply