ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পোশাক নির্বাচন এই মৌসুমে এক ঝক্কির বিষয়। কোন কাপড়টা পরলে সারা দিন রোদ-বৃষ্টির মধ্যেও আরামে কাটানো যাবে, এমন চিন্তায় পড়তে হয় সবাইকে। আরামের কথা ভেবে অনেকেই ঝুঁকছে সুতি কাপড়ের দিকে। হালকা রঙের সুতি কাপড়ের ওপরে ছোট বা বড় ফুলেল প্রিন্টের সালোয়ার-কামিজ রয়েছে সবার পছন্দের তালিকায়।
ঢাকার চাঁদনী চক মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসায়ী রশিদ উদ্দিন বলেন, গরমের শুরু থেকেই সুতি কাপড় বিক্রি বেড়ে গেছে। চীনা, পাকিস্তানি, কাশ্মীরি কাপড়ের চাহিদা থাকলেও দেশি বেক্সি ফেব্রিক্স, সেঞ্চুরি ফেব্রিক্স, রুবিয়া ভয়েল, মদিনা ভয়েলের চাহিদাও রয়েছে বেশ। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির কাপড় ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান জানান, যেহেতু গরম বেশি, তাই কামিজ বানাতে গাঢ় রঙের পরিবর্তে হালকা রংই সবার পছন্দ। ওড়না আর সালোয়ার অবশ্য জামার ছাপায় থাকা যেকোনো রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কিনছে সবাই। তবে সব ধরনের সুতি গজ কাপড়ই চলছে বেশ।
বসুন্ধরা সিটির দর্জিবাড়ির জেড এ স্টাইলের দর্জি নূর হোসেন বলেন, ‘সুতি জামার ফরমায়েশ বেশি পাচ্ছি। গরমের কারণে বড় গলার জামার সঙ্গে ছোট ম্যাগি হাতার জামা বেশি পছন্দ করছে ক্রেতারা।’ লম্বা হাতার জামাও পরছে অনেকে। তবে সে কাপড়গুলো অপেক্ষাকৃত পাতলা হয়ে থাকে। অনেকে আবার বড় গলার সঙ্গে চেইন বা ফিতা দিচ্ছেন। জামার সৌন্দর্য বাড়াতে ক্রুশের লেসসহ বিভিন্ন ডিজাইনের লেস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানালেন নূর হোসেন। নিউমার্কেটে সুতি কাপড় কিনতে আসা শাওন বলেন, ‘এই গরমে সুতিই ভরসা। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও সুতি কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। গরমের কথা মাথায় রেখেই হালকা নীল, গোলাপি এবং হালকা সবুজ রঙের কাপড় কিনেছি। এর সঙ্গে মিলিয়ে কিনেছি শিফনের ওড়না আর লেস।’
সাড়ে তিন হাত বহরের এসব সুতি কাপড়ের দাম পড়বে গজপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা। তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাবে দেশি কাপড়। দেশি কাপড়ের বহর কিছুটা কম। আড়াই হাত বহরের দাম পড়বে গজপ্রতি ৫০-১২০ টাকা। সুতি ওড়নার দাম পড়বে ১২০-২৫০ টাকা। জর্জেটের ওড়নার দাম পড়বে ১২০-১৫০ টাকা। সালোয়ারের জন্য ভয়েল বা পপলিনের কাপড় কিনতে গজপ্রতি দাম পড়বে ৪০-৬০ টাকা। এসব কাপড় আপনি চাঁদনী চক, বসুন্ধরা সিটি, মেট্রো শপিং মল, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, ইসলামপুরসহ সব কাপড়ের মার্কেট থেকে কিনতে পারবেন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২০, ২০১০
Leave a Reply