কাব্যের দিনভর ব্যস্ততা। ঘুরতে যাওয়া, কার্টুন দেখা। খেলাধুলা, ছোটাছুটি করে কেটে যায় সারা দিন। সবই ঠিক আছে। শুধু মামণির হাতে খাবারটা দেখলে তার শুরু হয়ে যায় দাঁতব্যথা, পেটব্যথা, ঘুম পাওয়ার নানা অজুহাত। খাওয়াটা যেন তার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তির কাজ। মা ফাহমিদা ফারহানাও কম নন। খাবার নিয়ে ছুটতে থাকেন তার পিছু পিছু।
শিশুদের খাবার খাওয়ানোর বেশ মজার কৌশলের কথা বলেছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোরশেদা বেগম। পাশাপাশি শিশুর মনের চাহিদা, পছন্দ-অপছন্দ বুঝে খাবার নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ চিকিৎসক নাজমা খাতুন।
শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়রা যা করে তা অনুকরণ করার একটা বিষয় সব সময় তাদের মধ্যে কাজ করে। এটা কাজে লাগান। আপনারা খাওয়ার সময় খাবার টেবিলের পাশে একটি উঁচু চেয়ারে ওকে বসিয়ে রাখুন। একটি প্লেট ও চামচ দিয়ে দিন ওর সামনে। মা-বাবার বা বড় বোনটার খাবার তুলে নেওয়া দেখে এবং খাওয়া দেখে সে বিষয়টি অনুকরণ করবে।
শিশুরা নতুনত্ব পছন্দ করে। তাই প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার দিন। এতে একই খাবার খেতে খেতে তার খাওয়ার প্রতি অনীহা জন্মাবে না।
শিশুরা রঙিন জিনিসটি বেশি পছন্দ করে। তাই ওর খাবারের সঙ্গে যোগ করে দিন গাজর, ধনেপাতা এমন সব রঙিন সবজি। খাবারের বাটির এক পাশে সাজিয়ে দিন তা।
শিশুর খাবার যেন দেখতেও হয় আকর্ষণীয়
ওর পছন্দের কার্টুনটার আকৃতিতে সুজি আর হালুয়াটা বানিয়ে নিতে পারেন। কালো আঙুর দিয়ে বানিয়ে দিন চোখ। দেখবেন, এই খাবার দেখে আপনার দিকেই ছুটে আসবে ও।
শিশুর খাওয়ার সময়টা একটু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আনুন। সারা দিন এটা-ওটা খেতে না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
সারাক্ষণ খাওয়া নিয়ে ওর পেছনে লেগে না থেকে ওর খিদে লাগা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
জোর করে বা ধমক দিয়ে খাওয়াবেন না। বরং কৌশলী হয়ে খাবারটা টেবিলে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। খিদে পেলে ও নিজেই খেয়ে নেবে।
কখনোই মারধর করবেন না। এতে ওর খাওয়ার রুচি আরও কমে যাবে। আদর দিয়ে, সময় নিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
ও কী খেতে চাইছে, তা ওকে জিজ্ঞেস করে বা কয়েকটি খাবার দেখিয়ে ওর পছন্দমতো খাবারটা খেতে দিন।
গল্প শোনাতে শোনাতে অথবা টেলিভিশন দেখতে দেখতে ওর খাওয়া সেরে নিতে পারেন।
মডেল: ফারাহ শারমীন ও তাঁর মেয়ে আফশিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৬, ২০১০
mina
balo rako seley k nejey balo tako