দাড়ি নিয়ে স্টাইল না করতে পারা নিয়ে অনেকের মাঝে ‘দুঃখ’ দেখা যায়। কিন্তু আমি মনে করি এ নিয়ে কোনো দুঃখ থাকতে পারে না। তবে যাদের দুঃখ নিয়েই জীবন কাটাতে হয় তারা এ নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করতে পারেন। এটা তো আর ব্যক্তিত্ব নয় যে, নিজের অজানায় সাবালক হয়। তাই ট্রিম গ্রুমের সাধনা ছাড়া পাল্টানো মুশকিল। দাড়ির স্টাইল কীভাবে ঠিক করবেন, তা নিয়ে তাই কোনো বিশেষ ভোকাল টনিকের কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু একটু টেকনিক্যাল জ্ঞানের কথা বললাম। মুখের সঙ্গে মিল রেখে আপনাকে ঠিক করতে হবে কী ধরনের স্টাইলের দাড়ি আপনি রাখবেন। ফ্রেঞ্চকাট, ক্লিন, শেভেন বা সনাতনী বঙ্গ আঁতেল মার্কা একমুখ দাড়িণ্ড কোনটা আপনার জন্য উপযোগী সে বিষয়ে বন্ধুদের সঙ্গেও আলোচনা করে নিতে পারেন। ফ্রেঞ্চকাট রাখতে চাইলে নিয়মিত ট্রিম করতে হবে। স্টাবল মেইনটেইন করা আরো কঠিন। ক্লিন শেভেন ছাড়া যে ধরনের দাড়িই রাখুন না কেন, ট্রিম করা না থাকলে দেখতে খুবই বাজে লাগে। তাই ক’দিন পরে বা কোন সময়ে ট্রিম করা উচিত সে ব্যাপারে ভালো কোনো এক্সপার্টের সাথে কথা বলে নিতে পারেন। সর্বদা চেষ্টা করবেন বাড়িতে শেভ করতে। যদি পার্লারে যান তবে লক্ষ রাখবেন যে ব্লেডটি নতুন কিনা। শেভ করার পর অনেকেরই ব্রনের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে তাদের উচিত বাসায় শেভ করা। গালে ব্রনের পরিমাণ বেশি হলে কিছুদিন শেভ করবেন না। এজন্য কোনো অ্যান্টিসেপ্টিক ইউজ করা যেতে পারে। ব্রন কমে গেলে আবার শেভ করা যেতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ছেলেদের গালে ব্রন বা র্যাশ নেই। কিন্তু শেভ করার সময় একটু র্যাশ বেরোচ্ছে। আবার দু-একদিন পর ঠিক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বুঝতে হবে, শেভ করার কারণেই এমনটা হচ্ছে। তাই যে পার্লারে শেভ করতে যাবেন সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হন। দাড়ি পেকে যাচ্ছে এমনটা অনেক কমবয়সী ছেলের মধ্যেই দেখা যায়। তাদের জন্য ক্লিন শেভেন লুকই ভালো। যারা দাড়ি রাখতে আগ্রহী তারা দাড়ি কালার করে নিতে পারেন। তবে কালারের কোয়ালিটি সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
মারুফ কিবরিয়া রিয়েল
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুন ১৫, ২০১০
Leave a Reply