অফিস মানেই কাজ আর কাজ। আপনার এত কাজের উপস্থাপনা এসে পড়ল হঠাৎ করেই, এমনটা হতেই পারে। হতে পারে আপনার বিভাগের কাজ-কর্মের ওপর একটা প্রেজেন্টেশন এবং ছোট্ট একটা স্পিচ তৈরি করা। যদিও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তারপরও পুরো অফিসের কলিগদের সামনে ভয় আর জড়তা কাটিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করা একটু কঠিনই মনে হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে এরকম কিছু সময় আসে যখন নিজের কাজ, দক্ষতার প্রমাণ দেওয়াটা জরুরি হয়ে যায়। আপনি যত ভালো কর্মীই হোন না কেন, সঠিক সময়ে সেটা প্রকাশ করতে না পারলে আপনার দক্ষতা মাঠে মারা যায়। নিজেকে প্রমাণ করার কয়েকটি জরুরি পরামর্শ-
০০ কোনো উপস্থাপনার মূলমন্ত্র হচ্ছে প্রস্তুতি, যা বলবেন এবং তার যথার্থতা আপনার জানা থাকলেও তা কাগজে নোট করে নিন। একজন নির্ভরযোগ্য মানুষকে দেখাতে পারেন। তিনি হয়তো বুঝবেন আপনার বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত। আর উপস্থাপনা করতে হয় সীমিত সময়ের মধ্যে। তাই স্বল্প সময়ে আপনার পরিষ্কার বক্তব্য সাজান।
০০ এখনকার সময়ে প্রেজেন্টেশনে বিশেষ সফটওয়্যার, চার্ট বা াইড শো’র সাহায্য নিলে সেটা বেশ উপভোগ্য এবং বোধগম্য হয়। প্রেজেন্টেশন বানাবার দায়িত্ব কখনই অন্য কারও ওপর ছাড়বেন না। নিজেই বানান, যাতে উপস্থাপনার সময় কোথাও তাল কেটে না যায়। প্রেজেন্টেশনের আগে সেটা বেশ কয়েকবার চেক করে নিন যাতে দেখানোর সময় কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।
০০ নিজের প্রেজেন্টেশনের জামাকাপড়ের দিকে একটু খেয়াল রাখুন। ফর্মাল ওয়্যার এবং ফ্রেশলুক ও মেয়েদের ক্ষেত্রে নিট করে বাঁধা চুল আর হালকা একসেসরিজ দিতে পারে চমৎকার উপস্থাপনা।
০০ আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়া চাই কনফিডেন্ট এবং স্মার্ট। তবে বেশি এগ্রেসিভ হয়ে পড়বেন না। কারণ আপনার প্রেজেন্টেশন পুরোপুরি অফিসিয়াল, বাচক ভঙ্গিতে কোনো নাটকীয়তা রাখবেন না। কথা বলার সময় পরিষ্কার নিচু স্বরে কথা বলুন। তাড়াহুড়ো করবেন না।
০০ আপনার প্রেজেন্টেশন যতটা পারেন আগে থেকে ভালোভাবে ঝালাই করে নিন। কখন কী বলবেন, কোন উদাহরণ টানবেন, আপনার এক্সপ্রেশন কেমন হবে ইত্যাদি খুঁটিনাটি সহজ হয়ে যাবে। কোনো একজনের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন না। প্রশ্নোত্তরের জন্য সময় রাখুন অবশ্যই। কোনো ভনিতা না করে সংক্ষিপ্ত, পরিষ্কার উত্তর দিন। উত্তর জানা না থাকলে নম্রভাবে ক্ষমা চেয়ে নিন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুন ০১, ২০১০
Leave a Reply