বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। হাতে কোনো কাজ নেই। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে প্রিয় বইটি পড়তে কার না মন চায়। ঘরের কোণে রাখা বইয়ের তাকে প্রিয় বইটি পেলেন কিন্তু হাতে নিয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। কারণ বৃষ্টির পানিতে ভিজে অথবা পোকার আক্রমণে পাতাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
বাংলা একাডেমীর প্রধান গ্রন্থাগারিক ও ভারপ্রাপ্ত সচিব অপরেশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, সব সময় মানুষ বই কিনে থাকে। শুধু বই কিনলেই হবে না, বইয়ের যত্নও নিতে হবে। বর্ষায় বইয়ের যত্ন সম্পর্কে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এমন স্থানে বই রাখুন।
বর্ষার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে কোনোভাবেই বইয়ে বৃষ্টির পানি না পড়ে।
বইয়ের তাকের আশপাশে দরজা-জানালা থাকলে বৃষ্টির সময় সেটা বন্ধ করে রাখুন।
বৃষ্টিতে যদি বই ভিজেই যায়, তবে বই থেকে পানি মুছে ফেলে রোদে শুকিয়ে নিন।
বইয়ের ওপর কখনো ধুলা জমতে দেবেন না। শুকনো ও নরম কাপড় দিয়ে বই নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
তাকের মধ্যে খাড়াভাবে বই রাখুন। চাপাচাপি করে রাখলে বই নষ্ট হয়ে যায়।
পড়া শেষ হলে ভালোভাবে নির্দিষ্ট স্থানে বই গুছিয়ে রাখুন, যাতে পরে প্রয়োজনের সময় পেতে সুবিধা হয়।
বইয়ের পাতা কখনোই ভাঁজ করে রাখবেন না। পাতা ভাঁজ করে রাখলে ছিঁড়ে যেতে অথবা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
থুতু দিয়ে কখনো বইয়ের পাতা উল্টাবেন না। এতে বইয়ের পাতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পোকামাকড়ের উপদ্রব যাতে না হয় সে জন্য বইয়ের ভেতর ন্যাপথলিন রাখুন।
স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা জায়গায় বই রাখবেন না। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে, এমন স্থানে বই রাখুন।
৩০ থেকে ৪০ দিন অন্তর বইয়ের তাক পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে করলে ভালো হয়।
দুর্লভ বইগুলো লেমিনেট বা বাঁধাই করে রাখতে পারেন।
নিউজপ্রিন্ট কাগজ পানি বেশি শোষণ করে। তাই এ কাগজের বইগুলোর দিকে আলাদা যত্ন নিন।
তারিকুর রহমান খান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২২, ২০১০
Leave a Reply