হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দিল আপনাকে। সঙ্গে ভিজল কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ আর ব্যাগে রাখা অন্য জিনিসপত্র। যার মধ্যে ছিল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং শখের মোবাইল ফোনটি। এখন প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে, এ এক নিত্য বিড়ম্বনা!
সুচিতা জাহান চাকরি করেন। নানা প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই তাঁকে ছুটতে হয় বিভিন্ন গন্তব্যে। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে প্রায়ই ভিজে যায় ব্যাগে রাখা তাঁর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাওনও পড়েছেন একই সমস্যায়। তিনি বলেন, ‘বড় আকারের চামড়া বা সুতি কাপড়ের ফ্যাশনেবল ব্যাগ আমার পছন্দ। কিন্তু এখন প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে বলে ফ্যাশনের সঙ্গে প্রয়োজনের মেলবন্ধনটা ঘটবে এবার র্যাক্সিনের ব্যাগের সঙ্গে।’
পিরান ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী হোসনা বানু বলেন, ‘আমরা সচরাচর চামড়া, সুতি কাপড় ও পাটের ব্যাগ তৈরি করে থাকি। তবে শুধু বর্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা তৈরি করেছি ক্যানভাসের মোটা কাপড় এবং প্যারাসুট কাপড়ের ব্যাগ, যাতে পানি ব্যাগের ভেতরে ঢুকতে না পারে।’ ঢাকার মেট্রো শপিং মলের ব্যাগ বিক্রেতা ফেরদৌস রাকিব বলেন, ‘আমরা আসল এবং কৃত্রিম চামড়া ও কাপড়ের ব্যাগ বিক্রি করে থাকি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে র্যাক্সিন এবং কৃত্রিম চামড়ার ব্যাগের বিক্রি-ই বেশি থাকে।’
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমের জন্য উপযোগী ব্যাগগুলোর বেশির ভাগই গাঢ় আর উজ্জ্বল বর্ণের। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন নামে এ ব্যাগগুলো বিক্রি হয়। বসুন্ধরা সিটির স্টার ওয়ার্ল্ডের স্বত্ব্বাধিকারী মোহাম্মদ মনির হোসাইন বলেন, এ ব্যাগগুলোর বেশির ভাগই আসে চীন থেকে। তবে থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ব্র্যান্ডের ব্যাগ এ দেশে আমদানি করা হয়। এ ব্যাগগুলো সাধারণত কৃত্রিম চামড়া, প্যারাসুট কাপড় বা র্যাক্সিনের তৈরি। নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, রাপা প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, মেট্রো শপিং মল, রাইফেল্স স্কয়ারসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে পাওয়া যাবে এসব ব্যাগ। আর মোটা ক্যানভাস ও প্যারাসুট কাপড়ের ব্যাগ পাবেন নানা ফ্যাশন হাউসে।
ব্যাগের আকার এবং প্রাপ্তিস্থানভেদে দামের মধ্যেও রয়েছে ভিন্নতা। কৃত্রিম চামড়ার বড় আকারের ব্যাগগুলোর দাম পড়বে ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে। ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে প্যারাসুট কাপড়ের ব্যাগগুলো। আর ক্যানভাস কাপড়ের ব্যাগ পাওয়া যাবে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২২, ২০১০
Leave a Reply