প্রতিদিন অন্তত আধাঘণ্টা হলেও ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। ব্যায়াম করা খুব কষ্টকর হলে এক ঘণ্টা হাঁটার চেষ্টা করুন। হাঁটাও একটা ব্যায়াম। ব্যায়ামের কোন বয়সভেদ নেই সব বয়সের মানুষই ব্যায়াম করতে পারেন। সবরকম ব্যায়ামই পূর্ণ মনযোগ এবং ধৈর্যসহকারে করলে ভাল ফল পাওয়াই যাবে। ব্যায়ামের ফলটা খুব ধীরগতিসম্পন্ন যে জন্য মানুষ এটার প্রতি আকৃষ্ট কম হয়। ভরাপেটে এবং কিছু কিছু শারীরিক অসুস্থতায় ব্যায়াম করা উচিত নয় তাতে ক্ষতি হতে পারে।
ব্যায়ামের উপকারিতাঃ মানবদেহে নানা প্রকার বহিরাঙ্গগ্রন্থি রয়েছে। এসব গ্রন্থি হতে নিঃসৃত রস পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। এগুলো বহিরাঙ্গগ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এগুলোকে সচল রাখতে ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানুষের স্নায়ুগুলোর স্থল মেরুদন্ডে অবস্থিত বলে মানুষের যৌবন ও জীবনীশক্তি মেরুদন্ডের সচল ও এর কর্মক্ষতার উপর নির্ভরশীল। মেরুদন্ডে রক্ত চলাচল ঠিকমত হলে স্নায়ুগুলো সচল থাকে। মেরুদন্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে স্নায়ুতন্ত্রগুলো দুর্বল হয়ে যায়। শরীর জরাগ্রস্ত হয়। মেরুদন্ডে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে সচল ও অধিক কর্মক্ষম রাখতে এদের জরা ও বার্ধক্যকে দূরে রেখে অনেকদিন সুস্থ থাকতে প্রয়োজন হয় ব্যায়াম-এর। মেরুদন্ডের স্বাভাবিক গতি ছয় প্রকার। সামনে, পিছনে, ডান ও বাঁদিকে এজন্য চতুর্দিকে বেঁকিয়ে ব্যায়াম করা ফলপ্রসূ ব্যায়ামের মাধ্যমে মেরুদন্ডস্থ স্নায়ুমন্ডলীকে অধিক রক্তস্নাত করে এদের সজীবতা ও নবীনতা বৃদ্ধি করা যায়। সাধারণত সিসটল ১২০-এর উপর এবং ডায়াস্টোল ৯০-এর বেশী হলে উচ্চরক্তচাপ ধরা হয়। উচ্চরক্তচাপ হলে শরীরিক দুর্বলতা, মাথাধরা, মাঝে মাঝে বুক ধড়ফড় করা, কখনও কখনও বুক ধড়ফড় করা, কানে এক প্রকার শব্দ শোনা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়। রক্তের উচ্চচাপ কমাতে হলে ওষুধ না খেয়ে শ্বাসন করুন। উচ্চরক্তচাপে যোগ ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
————————-
দৈনিক ইত্তেফাক, ৩১ মে ২০০৮
Leave a Reply