মোবাইল ফোনের এই যুগেও অনেকেই বাসায় বা অফিসে একটি ল্যান্ডলাইন সংযোগ নিতে চান। বিটিসিএলের ল্যান্ডফোনের বর্তমান কলচার্জ বিটিসিএল ল্যান্ডফোন থেকে বিটিসিএল ল্যান্ডফোনের ক্ষেত্রে মাত্র ৩০ পয়সা প্রতি মিনিট। বর্তমানে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম চার্জ ৩০০ টাকা।
আবেদন-প্রক্রিয়া
টেলিফোন সংযোগ নিতে চাইলে প্রথমে জানতে হবে আপনি বিটিসিএলের কোন এক্সচেঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে বিনা মূল্যে টেলিফোন সংযোগের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নিজের নাম, জন্মতারিখ, পেশা, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। সংগৃহীত আবেদপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে তা একই অফিসে বিভাগীয় প্রকৌশলী বরাবর জমা দিতে হয়। আবেদনপত্র জমাদানের সময় আবেদনকারীকে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং পরিচয় শনাক্তকারী সনদপত্র জমা দিতে হবে। পরিচয় শনাক্তকারী সনদপত্র হিসেবে আপনি পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বন্দুক লাইসেন্স/পাসপোর্ট অথবা পরিচয় শনাক্তকারী ছবিযুক্ত অন্য যেকোনো সনদ দিতে পারেন। আবেদনপত্র চার কপি করতে হবে।
সংযোগ-প্রক্রিয়া ও খরচ
আপনার আবেদন যাচাই-বাছাই করে বিটিসিএল কর্মীরা বিভাগীয় প্রকৌশল অফিসে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন হ্যাঁ-সূচক হলে বিভাগীয় প্রকৌশলী তখন একটি চাহিদাপত্র (ডিমান্ড নোট) ইস্যু করবেন। চাহিদাপত্রের তিনটি কপি আপনাকে দেওয়া হবে। এরপর আপনি ব্যাংকে টাকা জমা দেবেন। ব্যাংক চাহিদাপত্রের এক কপি রেখে দুই কপি আপনাকে ফেরত দেবে। এর এক কপি আপনি বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে জমা দেবেন। এরপর বিটিসিএল তার দাপ্তরিক প্রক্রিয়া ও টেকনিক্যাল কাজ শেষ করে আপনার বাসায় টেলিফোন সংযোগ দেবে।
নতুন সংযোগের খরচ
বিটিসিএল টেলিফোনের গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে উপজেলা পর্যায়ে শর্ত সাপেক্ষে বিনা মূল্যে সংযোগ দিত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এখন নতুন সংযোগের জন্য ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহর মাল্টি এক্সচেঞ্জের জন্য চার্জ হচ্ছে দুই হাজার টাকা, চট্টগ্রাম মাল্টি এক্সচেঞ্জের জন্য এক হাজার টাকা এবং অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৬০০ টাকা।
ঢাকার মাল্টি এক্সচেঞ্জ
বিটিসিএল ঢাকাকে পাঁচটি টেলিযোগাযোগ অঞ্চলে বিভক্ত করেছে। সেগুলো ঢাকা টেলিযোগাযোগ অঞ্চল—পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ, উত্তর এবং কেন্দ্রীয়। প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে বেশ কয়েকটি এক্সচেঞ্জ অফিস। আপনাকে এলাকার এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
পূর্ব অঞ্চল (খিলগাঁও)
এ অঞ্চলে রয়েছে সাতটি এক্সচেঞ্জ কার্যালয়। এগুলো হচ্ছে বাসাবো, খিলগাঁও, মুগদাপাড়া, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও মগবাজার।
পশ্চিম অঞ্চল (শেরে বাংলা নগর)
ঢাকা টেলিযোগাযোগ অঞ্চল (পশ্চিম) শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত। এক্সচেঞ্জ অফিস শেরে বাংলা নগর ও মিরপুরে।
দক্ষিণ অঞ্চল (রমনা)
এ অঞ্চলের আওতায় রয়েছে ১০টি এক্সচেঞ্জ অফিস। এগুলো গেন্ডারিয়া, কেন্দ্রীয় অঞ্চল নিলখেত, রমনা, ফকিরাপুল, চকবাজার, লালবাগ, বাবুবাজার, জিনজিরা, কলাতিয়া ও কেরানীগঞ্জ।
উত্তর অঞ্চল (গুলশান):
এ অঞ্চলের গুলশান ও উত্তরায় রয়েছে দুটি এক্সচেঞ্জ অফিস। আপনাকে অবশ্যই কাছের বিটিসিএল এক্সচেঞ্জ অফিসে আবেদন করতে হবে। নতুন সংযোগসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্যও আপনি পার্শ্ববর্তী বিটিসিএল অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
সাইদ আরমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৮, ২০১০
Leave a Reply