একটি ঘরে প্রবেশমাত্র যে বিষয়টি সবচাইতে আগে চোখে পড়ে তা হচ্ছে সে ঘরের ফ্লোর বা মেঝে। খুব ঝকমকে বা চকচকে ফ্লোর পুরো বাড়িটার সৌন্দর্য বহন করে। এমন বাড়িতে খুব এক্সপেনসিভ ফার্নিচার না থাকলেও চলে। তাই আপনার ফ্লোর সিরামিক, উডেন যা-ই হোক না কেন, তা হওয়া চাই খুব ঝকঝকে পরিষ্কার। মেঝে বা ফ্লোর পরিষ্কারের সহজ পরামর্শ জেনে নিন এবারের আয়োজন থেকে। লিখেছেন তামান্না শারমীন
০০ মার্বেল ফ্লোর সাধারণত দু’ধরনের হয়। পলিশড ও নন-পলিশড। নন-পলিশড ফ্লোরে কমার্শিয়াল সিলার ব্যবহার করুন। বড় বড় স্টোরে পাবেন। পলিশড ফ্লোরে ওয়াটার-বেজড ওয়্যাক্স ব্যবহার করুন।
০০ সিরামিক ফ্লোরে এসিড, কড়া সাবান ব্যবহার করবেন না।
০০ উডেন ফ্লোর প্রথমে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর ওয়্যাক্স অ্যাপ্লিকেটরের সাহায্যে উড ফ্লোর ক্লিনার লাগান। কয়েক মিনিট রাখুন। তারপর অতিরিক্ত ক্লিনার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ভিনেগার ও পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্লোর ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করুন। সরাসরি উডেন ফ্লোরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করবেন না। এই মিশ্রণে স্পঞ্জ বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মেঝে পরিষ্কার করুন।
০০ উডে ফ্লোর ঝকঝকে রাখার জন্য হোয়াইট ভিনিগার ও ভেজিটেবল অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
০০ মেঝেতে টাইলস বসানো থাকলে অতিরিক্ত পানি দিয়ে মুছবেন না। পিছলে পড়ার সম্ভাবনা তো থাকেই, তাছাড়া টাইলসের আঠালো ভাব কমে যেতে পারে।
০০ ব্রিক ফ্লোরে ১ কাপ ভিনেগারের মধ্যে পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুছতে পারেন, এসিড, কড়া সাবান দিয়ে ব্রিক ফ্লোর পরিস্কার করতে চাইলে অ্যামোনিয়া, ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে গ্লভস পরতে ভুলবেন না এবং মপ দিয়ে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
০০ সিমেন্টের মেঝের কাল ভাব দূর করতে বাসন পরিষ্কার করার সাবানের সঙ্গে ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন।
০০ সুগন্ধীযুক্ত ফ্লোর ক্লিনার বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন। ভিনেগার ও পানির মধ্যে অরেঞ্জ বা লাইম ফ্লেভার মিশিয়ে নিন। লেবুর রস, ডাই ছাড়া ডিস ওয়াশ, ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন।
০০ টি-ব্যাগ পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে উডেন ফ্লোর পরিষ্কার করতে পারেন, তাতে ঝকঝকে হবে।
০০ বেবি শ্যাম্পু পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বেবি অয়েল বা মিনারেল অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
০০ কখনই গরম পানি দিয়ে বাথরুমের মেঝে পরিস্কার করবেন না। এতে বেসিন, কমোড ক্র্যাকড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
০০ কার্পেট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। প্রতি মাসে অন্তত দু’বার কার্পেট পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করতে পারেন।
০০ অ্যামোনিয়া ও ব্লিচ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন না কখনও।
০০ মেঝে পরিষ্কার করার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছবেন। তাহলে শুকনো হলেও মেঝেতে মোছার শুকনো দাগ থাকবে না।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মে ২৫, ২০১০
Leave a Reply