বাসার সামনে ছোট্ট উঠোনে খেলছে শিশু সামির। হঠাৎই পড়ে গিয়ে পায়ের খানিকটা চামড়া উঠে যায়। আর শুরু হয় কান্নাকাটি। সাথে সাথে তার মা ঘরে নিয়ে গিয়ে স্যাভলন লাগিয়ে দিলো। একটু পর ব্যথা কমে গেলো।
অফিসের চাপে মাথাটা বেশ ধরেছিলো আসিফের। সেদিন কাজের চাপটাও ছিলো বেশি। ব্যথাটা ক্রমেই বাড়ছিলো। একটু পরে সে ড্রয়ার থেকে একটি কিট বের করে একটি প্যারাসিটামল খেয়ে নিলো। ব্যথাটাও আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগলো।
ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনটের ভিড়ে আমাদের জীবনযাপন। প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পর শুরু হয় আমাদের কর্মজীবন। যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা সবাই। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে নানা ঘটনা আর দুর্ঘটনা। ঘটনার বিষয়ে তো কিছু বলার নেই। কিন্তু দুর্ঘটনার বিষয়ে অবশ্যই আমাদের করণীয় আছে। যদিও দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না। কিন্তু খানিকা সচেতনতা আমাদের বাঁচিয়ে দিতে পারে অনেক বড় বিপদ থেকে। ঠিক যেমন সামিরের মা সামিরকে বাঁচিয়েছিলেন।
আপনিও এমন দুর্ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে সামাল দিতে পারবেন ঠিক যেমনটি সামিরের মা আর আসিফ দিয়েছিলো। তবে তার জন্য আপনার কাছে একটি বাক্স থাকা চাই। বাক্সটি কোনো জাদুকরি বাক্স নয়। এর নাম ফার্স্ট এইড বক্স বা প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স।
এটি এমন একটি কিট যাতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি থাকবে। যেকোনো রকমের আঘাতকে প্রাথমিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য এই ফার্স্ট এইড কিট আপনার কাছে রাখা খুব জরুরি। এই বাক্সে থাকে তুলা, গজ, স্যাভলন, অয়েন্টমেন্ট (অ্যান্টিবায়োটিক, বার্ন), ব্যান্ডেজ, থার্মোমিটার, ছোট কাঁচি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওয়াশ, ব্যান্ড এইড, আইস ব্যাগ, ওরস্যালাইন ইত্যাদি। এছাড়া প্যারাসিটামল, রেনিটিডিন ইত্যাদি ওষুধ রাখতে হবে। এই বাক্স থাকলে আপনি দুর্ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে রহিত করতে পারবেন। এরপর অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। ফার্স্ট এইড কিট ঘরে রাখলে তাৎক্ষণিকভাবে ছোটখাট রোগের মোকাবেলা করা সম্ভব। তাতে রোগের জটিলতা কমে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে কেই না থাকলেও নিজে নিজে ফার্স্ট এইড বাক্সের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারেন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মে ১৮, ২০১০
Leave a Reply