বড় ডায়ালের হাতঘড়ি পরতে পছন্দ করেন অপূর্ব সময় দেখার প্রয়োজনেই ঘড়ির ব্যবহার ছিল একসময় সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। কিন্তু এখন এটি হয়ে গেছে ফ্যাশনেরও একটি অনুষঙ্গ। মুঠোফোনেই সময় দেখার ব্যবস্থা থাকায় একসময় তরুণদের মধ্যে হাতঘড়ি পরার অভ্যাসটা বেশ কমে এসেছিল, কিন্তু এখন ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে আবারও হাতঘড়ি চলে এসেছে পয়লা নম্বরে। প্রয়োজন আর ফ্যাশন—এ দুইয়ের মিশেল ঘটেছে হাতঘড়ি ব্যবহারে।
যেমন চলছে
ফ্যাশন আর প্রয়োজন—দুই মিলিয়ে মানানসই হাতঘড়ির দিকেই আগ্রহ তরুণদের। ‘মোটা চেইন আর বড় ডায়াল, এমন ঘড়িই তরুণদের পছন্দ, তবে টিনএজাররা স্পোর্টস ঘড়ি পরতেই বেশি পছন্দ করে।’ জানালেন টাইমজোনের বিক্রয় ও গ্রাহকসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা। অভিনয়শিল্পী ও মডেল অপূর্ব হাতঘড়ি পরতে পছন্দ করেন। ‘আমি চেইনওয়ালা আর কিছুটা বড় ডায়ালের ঘড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আর সেটা অবশ্যই নামী ব্র্যান্ডের হবে। ঘড়ি দিয়ে শুধু যে প্রয়োজন মেটে তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এটির দ্বারা ব্যক্তিত্ব ও রুচি বোধেরও প্রকাশ পায়।’ বললেন অপূর্ব। ক্যাজুয়াল লুকের ক্ষেত্রে চেইন আর বড় ডায়ালের ঘড়িই বেশি জনপ্রিয়। আর ফরমাল লুকের ক্ষেত্রে ছোট ডায়ালের চামড়া বা চেইনওয়ালা ঘড়িই বেশি মানিয়ে যায় বলে অভিমত ঘড়ি বিক্রেতাদের। তবে যেমন ঘড়িই হাতে দেওয়া হোক না কেন, তা নিজের ব্যক্তিত্ব বা পরিবেশের সঙ্গে কতটা মানানসই, তা বিবেচনা করতে হবে সবার আগে।
হরেক ব্র্যান্ড আর দরদাম
ঘড়ির বাজারে বর্তমানে অনেক ধরনের ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যায়। ঘড়ির দাম নির্ভর করে এটি কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি তার ওপর। টাইটান ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যাবে দুই হাজার ৮৭৫ টাকা থেকে ১৮ হাজার ২০০ টাকায়, ফাস্ট ট্রাক চার হাজার ৬২০ থেকে আট হাজার ২২০ টাকায়, ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম শুরু হয়েছে এক লাখ থেকে, ওরিয়েন্ট তিন হাজার ৫০০ থেকে ৫০ হাজার, রোমার সাড়ে ১২ হাজার থেকে ৬০ হাজার, টিসোর্ট ২৫ হাজার থেকে লাখ, র্যাডো ৪০ হাজার থেকে দুই লাখ, প্যারিলাইনার পাঁচ হাজার থেকে ৩০ হাজার, ট্যাগহিয়ার ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ, রোমানসন পাঁচ হাজার থেকে ৪৫ হাজার, ওয়েস্টার দুই হাজার থেকে ১৫ হাজার, সিটিজেন এক হাজার ৭০০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নন-ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি ৩০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ব্র্যান্ডের ঘড়িগুলোতে সাধারণত এক থেকে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা থাকে। কেনার আগে এটি ভালোভাবে জেনে নিন।
যেখানে মিলবে
রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, বায়তুল মোকাররম, পাটুয়াটুলীসহ বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে হাতঘড়ির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গিফট শপে পাওয়া যাবে ফ্যাশনেবল ঘড়ি।
লক্ষ রাখুন
অনেকক্ষণ সময় ধরে ঘড়ি পরে না থাকাই ভালো। এতে হাতের কিছু অংশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
ঘড়ি পরলে অনেকের চামড়ায় অ্যালার্জি বা র্যাশ হয়। এটি রোধে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পোশাকের সঙ্গে ঘড়ি মানানসই কি না, তা দেখে নিন।
বিক্রয়োত্তর সেবার কার্ডটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করুন।
মোছাব্বের হোসেন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১৮, ২০১০
Leave a Reply