রাঁধিয়ে ঘরকন্নার এটা সেটা কিংবা পরিবারের মানুষের অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিছুটা সময়ের জন্য ধারণ করতেই ডাস্টবিন এর জন্ম। আর আজকের দিনের আধুনিক গৃহস্থের ঘরে ডাস্টবিন ছাড়া তো একদিনও চলে না। এছাড়া অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর হসপিটাল থেকে শুরু করে বহু জায়গাতেই প্রয়োজন পড়ে ডাস্টবিনের। একটা সময় ছিল যখন গৃহস্থালীর ফেলনা কোনো সামগ্রী বা মামুলী একটা ঝুড়ি দিয়েই ময়লা ফেলবার কাজটি চালিয়ে নেয়া হতো। কিন্তু এখন গৃহস্থালীর বাজারে একবার ঢুঁ মারলেই দেখা মেলে নানা রকমের ডাস্টবিনের। এসব ডাস্টবিন দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি অনেকাংশে তা স্বাস্থ্যকরও বটে। বর্তমানে বাজারে যেসব ডাস্টবিন পাওয়া যায় তার মধ্যে প্লাস্টিক এবং মেটাল এর তৈরি ডাস্টবিনই বেশি জনপ্রিয়। এসব ডাস্টবিন আবার কাজের প্রয়োজনে নানা ধরনের হয়ে থাকে যেমন পেডাল ডাস্টবিন, রোলিং হেড ডাস্টবিন বা স্টেইনলেস স্টিল ডাস্টবিন। এছাড়া একেবারে আমাদের দেশীয় ধাঁচের প্লাস্টিকের ঝুড়ি তো আছেই। যারা রান্নাঘরের ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন কিনতে চান তাদের জন্য পেডাল ডাস্টবিন বা স্টেইনলেস বিনই অধিক উপযোগী। পেডাল ডাস্টবিন এর সুবিধা হলো এটি সহজেই পায়ের চাপে খোলা যায় বলে রান্না করতে করতে সহজেই ময়লা ফেলা যায়। তাছাড়া এটি ঢাকনিযুক্ত বলে ময়লার দূর্গন্ধ ছড়ায় না। একই সুবিধা পাওয়া যায় ঢাকনিযুক্ত স্টেইনলেস বিন এও। আমাদের দেশে বর্তমানে যেসব পেডাল বিন পাওয়া যায় সেগুলোর দাম পড়বে ৪০০ (দেশী) থেকে ১০০০ (বিদেশী) টাকার মতো। আর স্টেইনলেস বিন এর দাম পড়বে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা। পেডাল কিংবা স্টেইনলেস স্টিল এর তৈরি এই বিনগুলো চাইলে রাখা যেতে পারে স্নানঘরেও।
রান্নাঘর ছাড়া গৃহস্থালীর অন্যান্য প্রয়োজনে যারা ডাস্টবিন ব্যবহার করতে চান তারা চাইলে কিনতে পারেন রোলিং হেড ডাস্টবিন। এসব ডাস্টবিনের উপরের ঢাকনা অংশটি ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে ময়লাকে ঢেকে রাখে। আকার ও আকৃতির উপর নির্ভর করে এই ডাস্টবিনগুলোর দাম পড়বে ১১০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর যারা অফিসের বাজে কাগজ ফেলবার জন্য মেটাল বা প্লাস্টিকের জালি দেয়া ডাস্টবিন কিনতে চান তাদের খরচ পড়বে যথাক্রমে মেটাল ওয়েস্ট পেপার বিনের জন্য ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা আর প্লাস্টিকের পেপার বিনের জন্য ৩০ থেকে ৬০ টাকা। বিভিন্ন রকমের ডাস্টবিনের জন্য ঢাকায় খোঁজ করতে পারেন নিউমার্কেট এলাকা কিংবা আড়ং এর যেকোনো আউটলেটে। আর জেলা শহরগুলোতে স্টাইলিশ ডাস্টবিনের জন্য ঢুঁ মারতে হবে ভাল কোনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মে ০৪, ২০১০
Leave a Reply