বাতায়ন পাশে বসন্তের এ সময়টাতে পাগলা হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢোকে ধুলোরাশি। জানালার ফাঁকে ফাঁকে ধুলোর স্তর জমে ঘটে রোগের সংক্রমণ, বাড়ায় পোকার আক্রমণ। তাই গৃহের সৌন্দর্য রক্ষার্থে গৃহের অন্যতম অংশ জানালাকেও রাখতে হবে পরিচ্ছন্ন, যাতে বাইরে থেকে আসা ধুলোবালি থেকে গৃহ রক্ষা করা যায়। সে সম্পর্কে বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হক।
জেনে নিন
জানালায় বড় বড় পর্দা ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঘরে ধুলো কম প্রবেশ করতে পারে।
জানালার ভারী পর্দা ঘন ঘন ধোয়া কষ্টকর। তাই প্রতিদিন জানালার পর্দা ঝাড়ু দিয়ে ব্রাশ করলে আলগা ময়লা পড়ে যায়।
প্রতিদিন জানালা প্রথমে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
পরিষ্কার করার পর কাপড় ভিজিয়ে সেটা মুছে ফেলতে হবে।
এভাবে পরিষ্কার করার পরও জানালার কোনায় কোনায় ময়লা যাতে জমে না যায় সে জন্য পুরোনো টুথব্রাশ কিংবা চিকন ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মাঝেমধ্যে এভাবে পরিষ্কার করলে সুন্দর থাকবে জানালা।
প্রয়োজনবোধে একেক দিন একেক রুমের জানালা পরিষ্কার করতে হবে। কেননা সব এক দিনে পরিষ্কার করতে গেলে বেশি চাপ পড়তে পারে।
ইদানীং অনেক বাসায় কাচের তৈরি জানালা ব্যবহার করা হয়। তাই যেকোনো ধরনের কাচের জানালায় পানি ছিটিয়ে তারপর নিউজপ্রিন্টের কাগজ দিয়ে ঘষলে তা চকচকে থাকবে।
জানালার যে অংশটি হাতের নাগালে পাওয়া যায় তা সহজেই ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে আলগা ধুলো ঝেড়ে ফেলতে হবে। আর জানালার যে বাইরের দিকটা হাতের নাগালে পাওয়া যায় না, তা হাতল-লাগানো স্পঞ্জের রোলার ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
শৌখিন অনেক ঘরে জানালার ওপর নেট ব্যবহার করা হয়। এই নেটে যেন ধুলো জমে না থাকে সে জন্য বড় ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
রান্নাঘরের জানালা সকালবেলা রান্নার সময় খুলে দিতে হবে, আবার কাজ শেষ হয়ে গেলে বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে।
অন্যান্য ঘরের জানালা সকালে খুলে আবার সন্ধ্যা হওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ করে দিতে হবে।
কাচের জানালা পরিষ্কারের সময় কাচ পরিষ্কারের বিশেষ তরল ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদি কোনো ঘরের জানালার ওপরে ভেন্টিলেটর থাকে, তবে সপ্তাহে অন্তত একদিন তা শলার ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে পাখি বাসা বাঁধতে পারে, আবর্জনা জমে থাকতে পারে।
উত্তর-দক্ষিণে জানালা থাকা গৃহের জন্য ভালো।
মনে রাখতে হবে
জানালা পরিষ্কারের জন্য কাপড়ের চেয়ে ঝাড়ু অনেক বেশি কার্যকর। প্রথমে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে তারপর প্রয়োজনে লিকুইড ক্লিনার কিংবা ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখুন জানালার পাশের ও জানালার সংলগ্ন স্থান। নিরাপদে রাখুন আপনার পরিবারকে।
নাঈমা আমিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২৭, ২০১০
Leave a Reply