ছায়ানটের অনুষ্ঠান
ছায়ানটের জনসংযোগ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছয়টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে। শিল্পী অসীত বিশ্বাসের ভোরের রাগের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আয়োজন। এরপর সাড়ে ছয়টায় ছায়ানটের সংগীত, নৃত্যসহ নানা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রায় দুপুর অবধি চলবে এ অনুষ্ঠান। অংশ নেবেন খায়রুল আনাম শাকিল, মিতা হক, চন্দনা মজুমদার, শাহীন সামাদসহ আরও অনেক শিল্পী।
শোভাযাত্রা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির সদস্য সোহেল জানান, সকাল আটটা ৩০ মিনিট থেকে নয়টার মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রাটি এবার চারুকলার মূল গেট থেকে শুরু হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর, জগন্নাথ হল, ঢাকা মেডিকেল, ফুলার রোড হয়ে উপাচার্যের বাংলোর পাশ দিয়ে আবার চারুকলায় এসে শেষ হবে।
গুলশানে মেলা ও অনুষ্ঠান
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গুলশানে বৈশাখী মেলাার আয়োজন করতে যাচ্ছে গুলশান সোসাইটি ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব। গুলশান সোসাইটি সাউথ পার্ক মাঠে এ মেলা চলবে পয়লা বৈশাখ সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা। থাকবে বৈশাখী গান, বাউল গান, রবীন্দ্রসংগীত, আগুনের খেলা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, দেশীয় খাবার, সাপের খেলা ও বানরের খেলার মতো বর্ণিল আয়োজন। এ ছাড়া থাকছে দেশীয় বস্ত্রশিল্প ও মৃিশল্পের সমাহার। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। এ ছাড়া পয়লা বৈশাখ সকালে গুলশান লেক পার্কে গুলশান সোসাইটির আয়োজনে থাকছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
এ দিন শাহবাগের মোড় থেকে শুরু করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাস্তার পাশে বসবে মেলা। চারুকলার শিক্ষার্থীরা চারুকলার ভেতরে দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করবেন। মেলায় নাগরদোলা, পুতুলনাচ পরিবেশিত হবে। মেলা সকালে শুরু হয়ে চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। চারুকলার বকুলতলায় চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ দিন টিএসসি এলাকায়ও চলবে মেলা ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো আয়োজন হাতে নেয়নি।
শহীদ মিনার
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্লোল বলেন, ‘এবার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আমরা লোকসংগীতের আয়োজন করেছি। এ আয়োজন চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।’
রবীন্দ্রসরোবর
এবার রবীন্দ্রসরোবরে অনুষ্ঠানমালা চলবে রাইটওয়ে ইভেন্টস অ্যান্ড প্রমোশনের উদ্যোগে। এখানে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। থাকবে নানা রকম খেলার ব্যবস্থা ও মেহেদি উৎসব।
সাইদ আরমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ১৩, ২০১০
Leave a Reply