খাবার টেবিলের অনুষঙ্গ হিসেবে কাপড়ের ন্যাপকিনের ব্যবহার। একটা সময়ে এটা শুধু শৌখিনভাবে গুটিকয়েক পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন আর সেটি নেই। এখন উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোয় এই কাপড়ের তৈরি ন্যাপকিনের ব্যবহার বেড়েছে। এটি ব্যবহারের রেওয়াজটা আমাদের দেশে মূলত পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে এসেছে। আর কাপড়ের ন্যাপকিন ব্যবহারে আভিজাত্য অনেকটা বৃদ্ধি পায় বলে দিনে দিনে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে জানালেন বুটিক হাউস কুমুদিনীর ব্যবস্থাপক তানিয়া তাছলিমা। খাবার টেবিলে বসে খাওয়ার সময় কাপড়ের ন্যাপকিন ব্যবহার করা হয়। এখানে এটি ব্যবহার করা হয় দুভাবে। একভাবে হলো গলায় পেঁচিয়ে অথবা খাবার টেবিলে বসে হাঁটুর ওপরে বিছিয়ে। এটা তো গেল কাপড়ের ন্যাপকিনের ব্যবহারবিধি। এবার আসি কাজের কথায়। খাবার টেবিলে ন্যাপকিন ব্যবহার কেন উপকারী—এর জবাব দিলেন তানিয়া তাছলিমা। অনেক সময় আমরা অনেক পরিপাটি বা দামি পোশাক পরে খেতে বসি। আবার এমনও হয়, বাসায় বেড়াতে আসা আত্মীয়স্বজনের খাবারের ঝোল বা অংশ পোশাকে লেগে যায়, এতে তাকে বিব্রত হতে হয়। এ রকম অবস্থায় যদি খাওয়ার সময় কাপড়ের ন্যাপকিন ব্যবহার করা যায়, তাহলে খাবার পোশাকে লাগার আশঙ্কা থাকে না। এটি নিয়ে চিন্তাও করতে হয় না। আবার ব্যবহার শেষে ভালোমতো পরিষ্কার করা যায় এটি। টেবিলের সৌন্দর্য বাড়াতেও কাপড়ের তৈরি ন্যাপকিনের জুড়ি নেই। এখন অনেকে খাবার টেবিলে কাপড়ের তৈরি এসব ন্যাপকিন ঘরের রং বা টেবিল ক্লথ এমনকি তৈজসপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করছেন বলে জানালেন যাত্রার ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক শিমুল মাহমুদ। এসব পাওয়া যাচ্ছে টেবিল ম্যাট অথবা টেবিল ক্লথের সঙ্গে। এ ছাড়াও আলাদা কিনতে পাওয়া যায় বিভিন্ন কাপড়ের ন্যাপকিন। কাপড়ের ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সুতি কাপড়ের ওপর ব্লক, বাটিক বা এমব্রয়ডারির কাজ। এ ছাড়া সুতার ফোঁড়ে বিভিন্ন শৌখিন নকশাও ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ের ন্যাপকিনগুলোতে। ফলে কাপড়ের ন্যাপকিনের মধ্য দিয়ে একদিক থেকে মিটছে প্রয়োজন, আর অন্যদিকে ফুটে উঠছে আভিজাত্য। কাপড়ের তৈরি ন্যাপকিন মিলবে যাত্রা, আড়ং, কুমুদিনীসহ বিভিন্ন বুটিক হাউসে। আলাদা করে এসব কাপড়ের ন্যাপকিনের দাম পড়বে ৪০ থেকে ২০০ টাকা। কাপড়ের ন্যাপকিনের ব্যবহারে আপনার ঘরের খাওয়ার টেবিলের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনি প্রয়োজনও মিটবে। এর সঙ্গে ফুটে উঠবে আভিজাত্য।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ৩০, ২০১০
Leave a Reply