বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার যুগে মোবাইল ফোন হচ্ছে মানুষের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, মানুষের শরীরের আর দশটি অঙ্গ প্রতঙ্গের মতো এটিও যেন একটি অঙ্গ। এটি ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারে না। চাকুরীজীবী, ডাক্তার ও অন্যান্য পেশাজীবীর পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরাও মোবাইল ফোনের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কারের যেমন সুফল রয়েছে তেমনি এর কুফল বা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করে বিড়ম্বিত। মোবাইল ফোনও বিজ্ঞানের তেমনি একটি উন্নত প্রযুক্তি, যার ভাল খারাপ দুটি দিকই রয়েছে বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন এর থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয় তার জন্য শরীরে অনেক রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। জেনে নিই মোবাইলের ক্ষতিকারক দিকগুলো কি কি :
১. মোবাইল ফোনে একাধারে ২ থেকে ৩ মিনিট কথা বললে মানুষের মস্তিষ্কে রক্ত ও প্রোটিনের যে প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে তাতে ছিদ্র দেখা দিতে পারে, যার ফলে অ্যালজাইমার পারকিসনস এর মতো অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
২. মোবাইল থেকে সব সময় যে হালকা রেডিয়েশন বের হচ্ছে তাতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। এর ফল হার্ট সংক্রান্ত নানা রোগ, কিডনীতে পাথর হতে পারে।
৩. সারাক্ষণ মোবাইলে কথা বললে ব্রেনটিউমার হবার সম্ভাবনা থাকে।
৪. সমীক্ষা করে দেখা গেছে যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের মধ্যে হাইব্লাড প্রেসারের রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।
৬. বেশিক্ষণ মোবাইলে কথা বললে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ও মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
৭. মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের কানের শ্রবণ শক্তি অনেক কমে যায়।
৮. মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের স্মৃতিশক্তি আস্তে আস্তে লোপ পায়। স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার কারণ মোবাইল থেকে যে রেডিয়েশন বের হয়, তাকে ব্রেনের যে অংশে স্মৃতি সঞ্চিত থাকে তার ক্ষতি হয়।
৯. যখন কেউ অনেকক্ষণ মোবাইলে কথা বলে তখন তার হাত এবং কান দুটো পেশীর উপরই খুব চাপ পড়ে। মোবাইল ফোন কিভাবে ব্যবহার করবেন যন্ত্রের যতোই। যন্ত্রনা থাকুক না কেন তারপরও জীবনের প্রয়োজনে আমাদেরকে কম বেশী এর ব্যবহার করতেই হয়। তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনের কারণেই মোবাইল ব্যবহার করুক, গল্প করার জন্য নয়।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মার্চ ১৬, ২০১০
Leave a Reply