ঝকঝকে ঘরের দেয়াল যেকোনো আবাসিক ইমারতকে প্রাণবন্ত করে তোলে ঝকঝকে রঙিন দেয়াল। ইমারতের দেয়ালটি যদি হয়ে পড়ে বিবর্ণ ও রংহীন, তবে তা পুরো স্থাপনার সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে দেয়। সে জন্য ঘরের দেয়ালের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এই বিষয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিনা আখতার বলেন, এখনকার আধুনিক বাড়ির গৃহসজ্জায় সাধারণত দেয়ালে প্লাস্টিক পেইন্টের ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে ১৫ দিনে একবার ডিটারজেন্ট পানিতে পাতলা নেটের ব্যাগ ভিজিয়ে পুরো দেয়ালটি মুছে নিতে হবে। এ ছাড়া দেয়ালে যদি পেনসিলের দাগ পড়ে বিশেষ করে রং পেনসিলের দাগ, তাহলে একইভাবে দেয়ালটি মুছতে হবে। তারপরও রং পেনসিলের দাগ না উঠলে দেয়ালের রঙের চক দিয়ে ওই জায়গার ওপর ঘষে দিন। এরপর শুকনো নরম কাপড় দিয়ে ওই জায়গার ওপর হালকাভাবে চেপে ধরুন। অনেক সময় দেয়াল বিভিন্ন কাজের জন্য ছিদ্র করা হয়। দেয়ালের এসব ছিদ্র বন্ধ করতে হলে পুটিং বা দেয়ালের রঙের টুথপেস্ট লাগিয়ে দিন। রান্নাঘরের দেয়াল খুব তাড়াতাড়ি অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে রান্নাঘরে চুলার সঙ্গের দেয়াগুলোয় যদি টাইলস দেওয়া না থাকে, সেখানে ওয়াল পেপার ব্যবহার করুন। আর স্নানঘরের দেয়ালকে পানির দাগমুক্ত রাখতে চাইলে স্নানঘর ব্যবহারের পর দরজা, ভেন্টিলেটর খুলে দিয়ে দেয়ালগুলো শুকাতে দিন। এ ছাড়া প্রতিটি ঘরের দেয়াল তিন থেকে চার দিন পর ঝুলঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, দেয়ালে যদি ঝুল বা ময়লা জমে, তবে দেয়ালের রং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আজকাল অনেকেই ঘরের দেয়ালকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে ওয়াল পেইন্টিং করে থাকেন। এ বিষয়ে বার্জার হোম ডেকরে কর্মরত মেহেরুননিসা বলেন, ওয়াল পেইন্টিং করতে চাইলে খুব ভালোভাবে দেয়ালটি নির্মাণ করতে হবে। যাতে এর বাইরে থেকে পানি ভেতরে প্রবেশ না করে অর্থাত্ খেয়াল রাখতে হবে, দেয়ালটি যাতে স্যাঁতসেঁতে না হয়। এ ক্ষেত্রে ওয়াল পেইন্টিংয়ের সময় ধোয়া যায় এমন রং ব্যবহার করতে হবে। এতে দেয়াল ময়লা হলে এবং সাবান পানি দিয়ে ধৌত করলে রং নষ্ট হবে না। কিছু বিশেষ ধরনের রং আছে, যা দেয়ালে শ্যাওলা জমতে দেয় না, সহজে কোনো দাগও পড়ে না। এগুলো অবশ্য একটু ব্যয়বহুল।
বিপাশা রায়
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ১৬, ২০১০
Leave a Reply