কেউ কেউ বলেন জেদ দিয়ে নাকি মানুষ চেনা যায়। যে যতটা জেদি সে ততটা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। এর বিপক্ষেও আবার অনেকের যুক্তি রয়েছে। জেদের বসে অনেকেই জীবনের চরম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আসুন, আজ খুঁজে দেখি, আপনি জেদের বসে কতটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন?
০ আপনার কোনো বিশেষ বন্ধুর সাথে ভুল বোঝাবুঝি হলে আপনি কী করেন?
ক. আপনি নিজে থেকেই এগিয়ে গিয়ে সবকিছু মিটমাট করে নেবেন।
খ. মনে মনে আপনার জেদ মেটানোর ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু প্রকাশ করেন না। অপেক্ষা করেন অন্যের জন্য।
গ. কিছুতেই নিজ থেকে এগিয়ে গিয়ে মিটমাট করবেন না। তাতে সম্পর্ক ভেঙে যায় যাক।
০ আপনাকে কেউ হঠাৎ চ্যালেঞ্জ করেছে কিন্তু আপনি জানেন এ কাজটি আপনি পারবেন না, তখন কী করবেন?
ক. কাজটা আপনি কখনোই করবেন না। কারণ জেদের বসে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ায় আপনি উচিত বলে মনে করেন না।
খ. কাজটা আপনার সম্ভব না হলেও দু’তিনবার ভেবে কাজটি করবেন।
গ. কাজটা আপনি করবেনই। ইজ্জত কা সাওয়াল।
০ আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে অনেকদিন আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। এখন সে আবার পুরনো সম্পর্ক ঝালাই দিতে চাইছে। আপনিও তাকে ভালোবাসেন। এখন কী করবেন?
ক. তাকে খুব ভালোভাবেই আরেকবার ফেয়ার সুযোগ দেবেন।
খ. কয়েকবার ভাববেন, কিছু শর্ত দিবেন, তারপর এন্ট্রি।
গ. কোনোভাবেই তার সাথে আর সম্পর্ক গড়বেন না।
০-১৫
আপনি মোটেও জেদি নন। তাই জেদের বসে কোনো ভুল সিদ্ধান্তও নেন না। ব্যাপারটা ভালো, অন্তত ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আপনাকে অনুতাপ করতে হয় না।
২০-৩৫
আপনি মোটামুটি জেদি। প্রায়ই আপনি ভুল- ভাল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তবে নিজের মনের কথাটাও অনেক সময় শোনেন। তাই আপনার জেদের চেয়ে আপনার মন যা চায়, তারই জিত হয়।
৪০-৫০
আপনি অসম্ভব জেদি। এটি কিন্তু মোটেও খুব একটা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়। জেদের বসে আপনি মাঝেমধ্যেই অন্ধ হয়ে যান। তখন কী করা উচিত সেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
আপনার স্কোর
১) ক. ৫, খ. ১০, গ. ১৫
২) ক ৫, খ. ১০, গ. ১৫
৩) ক ৫, খ. ১০, গ. ১৫
মেহেদী হাসান রাহাত
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১০
Leave a Reply