পুরো জায়গাটার মধ্যেই রাজসিক ভাব আছে। ঢোকার মুখেই থামতে হয় । প্রাকৃতিক নৈসর্গের কিছুটা স্পর্শ দেবে ঝরনা ও ছোট এক টুকরো লন। এরপরই নজরে আসবে ভারী কারুকার্যময় কাঠের দরজা। দরজা ঠেলে ঢুকতেই আভিজাত্যের ছোঁয়া নজরে পড়বে প্রতিটি কোনায়। স্টেক হাউস-২-এর এই আস্তানাটা অনেক যত্ন করেই সাজানো হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি গুলশান -২-এর ৫৩ নম্বর সড়কে স্টেক হাউসের নতুন শাখায় আয়োজন করা হয় জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
টেবিলে গিয়ে বসতেই কাঠের কাজ করা ফ্রেমের মধ্যে বাঁধানো মেনু পেয়ে যাবেন। অ্যাপেটাইজার, স্যুপ, সাইড ডিশ, স্টেক, মুরগি, সামুদ্রিক মাছের লোভনীয় স্বাদের একটার পর একটা পদ পেতেই থাকবেন।
প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার এখানে রাতে বুফে খাবারের আয়োজন করা হবে। খরচ জনপ্রতি ১০৫০ টাকা। ৩০-৪০টির মতো পদের মধ্যে আছে, হোল ল্যাম্ব, হোল ফিশ, মিনি স্টেক। এ ছাড়া থাকবে লাজানিয়া, স্প্যাগেটি, ফ্রায়েড রাইস, গ্রিল করা বিশালাকার চিংড়ি মাছ। দুই রকম স্যুপ, দুই রকম অ্যাপেটাইজার, তির রকম সালাদ, মুরগি, মাছ এবং মাংসের কোল্ড কাটস তো থাকছেই।
একতলা ও দোতলার ঘরগুলোও সাজানো হয়েছে নানা নামে ও নকশায়। গ্র্যান্ড বলরুম, স্যালন প্রিভিই, ডাইনিং রুম, দা লাউঞ্জ, শিশবার, বয়স রুম, জুসবার প্রভৃতি ঘরে ২০০ জনের মতো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে খাবার খেতে পারবে। আছে পুল টেবিলও। সেটক হাউস-২-এর ব্যবস্থাপক ইমন এফ চৌধুরী বলেন, ‘যাঁরা এখানে আসেন, তাঁরা যা চান সেটুকু দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হয়।’ প্রয়োজনে আপনার বুকিং দেওয়া দাওয়াতের ব্যবস্থা করা হবে খোলা মাঠে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১০
Leave a Reply