প্রত্যেক সংসার শুরু হয় ‘স্বামী-স্ত্রী’- এ দুটি শব্দ দিয়ে। সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রী-এ দু’জনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দু’জনের সম্পর্কের ভেতর বাহিরে থাকে অনেক প্রত্যাশার কথা। তাই নিয়ে আমাদের এবারের মনমন্দির
বেশিরভাগ সংসারে জীবিকানির্বাহের ক্ষেত্রে স্বামীর ভূমিকাই মুখ্য। আবার কিছু সংসারে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই জীবিকানির্বাহের ভূমিকা পালন করে। আর এই ভূমিকা পালন করতে গিয়ে সেসব স্বামী-স্ত্রীর কিছু প্রত্যাশা অমিল থেকে যায়। পড়ে থাকে কিছু আশার অপূর্ণতা। দেখা যায় স্বামীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত কিছু পাচ্ছেনা স্ত্রী। আবার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত কিছু পাচ্ছেনা তার স্বামী। এতে শুরু হয় পারস্পরিক ভুল বুঝাবুঝি। স্বামী মনে করে, মাসিক খরচ দেওয়া হয়ে গেলে তার কর্তব্য শেষ হয়ে যায়। বাদ-বাকী যা যা করার সবই স্ত্রীর। অন্যদিকে স্ত্রী মনে করে, ‘আমিও সংসার চালানোর জন্য চাকরি করি, দায়িত্ব কি আমার একার?’ আমাদের সমাজব্যবস্থা এমনি যে, নিজেরা যে কাজটা করতে পছন্দ করিনা সেটা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় থাকি। আর এটা হয় বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে দরকার একটু সহনশীলতা আর একটু যত্নের।
০ সমস্যা দূর করতে চিন্তা করুন নতুন করেঃ
স্বামী বা স্ত্রীর কাছে প্রত্যাশার পরিমাণ যাতে নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির মধ্যে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কর্মস্থলের কাজ ও সংসারের কাজের মধ্যে সমতা রেখে চলুন। এতে কাজগুলো ভাগ করে নেয়া যাবে এবং একজন আরেকজনকে সময় দিতে পারবেন।
০ সংসারের সব কাজে আপনার সঙ্গীকে ডাকুন। এতে হয়ত তিনি অনিচ্ছা প্রকাশ করবেন। তারপরও কাজ ভাগাভাগি করে নিন।
০ কাজে মন না বসলে গান চালিয়ে দিন এবং গল্প করতে করতে কাজগুলো সেরে নিন। কাজে যাতে উৎসাহ পায় সেজন্য তার কাজের প্রশংসা করুন।
০ সঙ্গীর উপর কোনো প্রকার রাগ বা আক্রোশ থাকলে, সেটি মনে না রেখে প্রকাশ করুন। এতে সমস্যা থাকবে না।
০ একে-অপরকে সময় দেওয়ার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। দিনে না হলেও এক ঘণ্টা সময় নিজেদের জন্য বের করুন।
০ কাজের ফাঁকে সময় পেলে আপনার সঙ্গীকে ফোন বা এসএমএস করতে ভুলে যাবেন না, চেষ্টা করুন তার ভালো লাগার উপহারগুলো আপনাদের সম্পর্কে নতুন রঙ লাগাতে।
খেয়াল রাখুন
সাংসারিক কর্তব্যের পাশাপাশি আপনার সঙ্গীকে একান্তে সময় দিলে সম্পর্কে ভিন্নতা আসবে, আর এতে করে আপনাকে প্রিয় মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারবেন।
০ সঙ্গীকে আপনার নিজের মনে করুন। কোনো দায়িত্ব তার উপর চাপিয়ে দিবেন না।
০ দায়িত্বগুলো ভাগাভাগি করে নিন। যে কাজগুলো পছন্দ না সেগুলো করে দেখুন।
০ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা উদাসীনতা, আপনি যদি আপনার স্ত্রীর প্রতি উদাসীন হয়ে থাকেন, তাহলে সেটি হবে আপনার জন্য চরম অন্যায়।
০ এই সমসা কাটাতে তার ভালো লাগানোগুলোর প্রতি নজর দিন। কী করলে তার ভালো লাগে তা আগে দেখুন।
০ দেখবেন আপনাদের সম্পর্ক আরো মধুর হয়ে উঠবে। আপনাদের সংসার হবে সুখের।
মডেল বর্ষা ও সময়
ছবি আশীষ সেনগুপ্ত
মারুফ কিবরিয়া রিয়েল
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০১০
Leave a Reply