দেশের চাকরিবাজারে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ খুবই কম। ব্যতিক্রম দেখা যায় বিভিন্ন মেলায়। মেলা বা বিভিন্ন প্রদর্শনীতে বিক্রয়কর্মীর দায়িত্ব পালন করেন অনেক শিক্ষার্থী। ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলায় একটি বইয়ের স্টলে এখন বিক্রয়কর্মীর কাজ করছেন তিতুমীর সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান। বেলা দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলায় তাঁর কাজ সম্পর্কে বলেছেন বিস্তারিত।
দোকান সাজানো দিয়ে কাজ শুরু
মেলার শুরুর আগেই স্টলে আসি। প্রদর্শনীর জন্য বইগুলো স্টলের সামনের টেবিলে সাজাই। আমাদের স্টলে সব বয়সী পাঠকের জন্য বই আছে। বয়সভিত্তিক আনুমানিক ক্রমে বইগুলো সাজাতে হয়। র্যাকেও বই ঠিকঠাক সাজানো আছে কি না, তা দেখে নিই।
গ্রাহকসেবাই আসল কাজ
স্টলে সাজানো বইগুলো থেকে পাঠক বই পছন্দ করেন। অনেক সময় ক্রেতারা প্রকাশিত বইয়ের তালিকাও চান। আগ্রহীদের তালিকা সরবরাহ করি। গ্রাহক কোনো বই বাছাই করলে তার দাম বলি। মেলায় সাধারণত বিশেষ ছাড়ে বই বিক্রি হয়। বইয়ের গায়ের মূল্য দেখে ছাড় বাদ দিয়ে দাম বলে দিই। যে বইটি বিক্রি হয়, সেই বইয়ের আরেকটা কপি র্যাক থেকে নামিয়ে টেবিলে সাজিয়ে রাখি। এভাবেই চলতে থাকে বিক্রিবাট্টা।
শেষ কাজ
রাত নয়টার আগে থেকেই বই গোছানোর কাজ শুরু করতে হয়। রাতে বইয়ের স্টলগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকে। তাদের বইয়ের সংখ্যাসহ দোকানের আসবাব বুঝিয়ে দিতে হয়। সবকিছু গোছানো শেষে মেলা থেকে বের হই।
গ্রন্থণা: রাশেদ শাওন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৬, ২০০৯
Leave a Reply