পেশাগত উন্নয়ন
ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক (বিবিএ) ডিগ্রি নেওয়ার পর আমি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি।তবে এখানে আমার পদোন্নতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও এটি একটি প্রথম সারির বহুজাতিক কোম্পানি। আমি এই কোম্পানিতে তিন বছর ধরে কাজ করছি এবং বর্তমানে একঘেয়েমিতে ভুগছি। এখন আমি একটি ভালো পদের জন্য চাকরি পরিবর্তন করতে চাইছি। উল্লেখ্য, বর্তমান কোম্পানিতে আমি ভালো বেতনই পাচ্ছি। আমার কি করা উচিত?
শাহজাহান চৌধুরী, মিরপুর, ঢাকা।
পরামর্শ: আমি বিশ্বাস করি যে আপনার চাকরি পরিবর্তনের অনেক কারণ রয়েছে। চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে, চাকরি জীবনের প্রথম ১০ বছরের মধ্যে চাকরি পরিবর্তনের চারটি ভালো কারণ আছে।
এক. চাকরি পরিবর্তন আপনাকে বড় পরিধির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন ঠিক নয়। যেহেতু আপনি তিন বছর একই পদে কাজ করছেন, তাই আপনি আপনার কাজের যথেষ্ট ধারণা পেয়ে গেছেন।
দুই. বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানের কাজ আপনার কর্মদক্ষতা বাড়ায়, এর সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতার গভীরতা আপনাকে চাকরিদাতাদের কাছে মূল্যবান করে তুলবে।
তিন. চাকরি পরিবর্তন আপনার পদোন্নতিতে সহায়তা করবে। প্রতিবার চাকরি পরিবর্তনে এ সুযোগ থাকতে পারে।
চার. চাকরি পরিবর্তন বেতন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, একটি ভালো পেশাজীবনের জন্য ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন করা উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন— মো. মোমিনুল আহসান, মানবসম্পদ প্রধান, এপেক্স গ্রুপ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করার পর কী কী পেশা নির্বাচন করতে পারি? এনজিওতে চাকরির সুযোগ কেমন? চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফলাফলের গুরুত্ব কেমন?
মুক্তা আচার্য, নোয়াখালী।
পরামর্শ: রাষ্ট্রবিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞানের একটি বিষয়। দেশি ও বিদেশি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) তাদের বিভিন্ন পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ অনেক বেশি। এনজিওগুলোয় স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন চাকরির অনেক সুযোগ থাকে। স্বল্পমেয়াদি চাকরির অভিজ্ঞতা স্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রে কাজে আসে। বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরিতেও রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারেন।
প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শর্তাবলি অনুযায়ী চাকরির আবেদনপত্র নির্বাচন করা হয়। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ফলাফল সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে ক্ষেত্রে খালি পদের সংখ্যার তুলনায় চাকরির আবেদনপত্রের সংখ্যা অনেক বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফলাফল এবং চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত অন্যান্য শর্ত প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হয়ে ওঠে। একটি ভালো চাকরির জন্য মধ্যম মানের ফলাফলই যথেষ্ট। মূলত শিক্ষকতার জন্য খুব ভালো ফলাফল অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কিছু নির্দিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা হয়।
পরামর্শ দিয়েছেন— মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান, সহকারী ব্যবস্থাপক, মানবসম্পদ ইউনিট, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ১৯, ২০০৯
Leave a Reply