শীতের এ সময়ে চাই লেপ, কম্বল আর ভারী শীতের কাপড়। তুলে রাখা শীতের কাপড়গুলো এখন নামানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এরই প্রস্তুতি নিয়ে জানিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
লেপ, কম্বল, কাঁথা প্রভৃতি নামানোর পর ব্যবহারের আগে অবশ্যই কড়া রোদে শুকাতে হবে।
লেপ ব্যবহারের সময় অবশ্যই লেপের ঢাকনি লাগিয়ে নিতে হবে।
কম্বল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় ঢাকনি ব্যবহার করা হয় না। অনেক দিন ব্যবহার না করার কারণে এতে ছত্রাক পড়ে। এ থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
কম্বল দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় তা পোকায় কেটে ফেলে। ফলে যে অংশ পোকায় কাটে তা রিপু করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে।
শীতের পোশাক যেমন—সোয়েটার, চাদর, শাল ব্যবহার করার আগে ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তবেই ব্যবহার করতে হবে।
ছোটদের শীতের পোশাক, শীতটুপি, উল কিংবা ফ্লানেলের জামাও পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
ছেলেদের কোট, ব্লেজার—এসব ব্যবহারের আগে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হবে।
শীতের সময় ঘরের মেঝে যেহেতু ঠান্ডা থাকে, তাই শীত আসার আগেই শতরঞ্জি কিংবা সামর্থ্য থাকলে ফ্লোরম্যাট কিনে রাখা ভালো।
পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকলে এখনই বেরিয়ে পড়ুন শীতের পোশাক কিনতে।
শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে।
অবশ্যই সব সময় আলমারির ভেতর ন্যাপথলিন দিয়ে রাখতে হবে।
শীতের পোশাক ভাঁজ করে সারিবদ্ধ কিংবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
যেসব ঘরে কাচের জানালা আছে, শীতের সময় তাতে অবশ্যই ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে। যদি জানালার কোনো শার্সি কিংবা কাচ ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যায়, তবে দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে।
বাড়ির উত্তর দিকের জানালা কম খুললে ঠান্ডা বাতাস ঘরের ভেতর তেমন ঢুকতে পারে না।
শীতের উষ্ণতা পেতে হলে ঘরে পর্যাপ্ত রোদ আসার ব্যবস্থা করতে হবে।
নাঈমা আমিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২২, ২০০৯
Leave a Reply