প্রতিদিনের গোসল কিংবা ধোয়ামোছায় একটি জিনিসের প্রয়োজন পড়ে, যা ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন সম্ভব নয়। তা হলো তোয়ালে। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার, যত্নআত্তি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় এই জিনিসের ব্যবহার ও যত্নআত্তি নিয়ে কিছু টিপস রইল। দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
বাজার থেকে তোয়ালে কেনার সময় ঠিক করে নিন, কোন কাজে তা ব্যবহার করবেন। শিশুর তোয়ালে এক রকম, গৃহস্থালির কাজের জন্য যেটি ব্যবহার করা হয়, তা অন্য রকম হয়। তবে যে কাজেই ব্যবহার করা হোক না কেন, সুতি তোয়ালে সবচেয়ে আরামদায়ক।
নবজাতকের জন্য এমন আকারের তোয়ালে কিনতে হবে, যাতে পা থেকে ভালোভাবে মুড়িয়ে নেওয়া যায়। এসব তোয়ালের সঙ্গে টুপি লাগানো থাকে। তবে নবজাতকের তোয়ালের দিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। রোগজীবাণু যেন সংক্রমণ ঘটাতে না পারে, তাই নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ভেজা তোয়ালে কখনোই ব্যবহার করবেন না। শুকনো সুতির তোয়ালে শিশুর জন্য বেশি উপযোগী।
এখন খাবার ঘরে ঝোলানো তোয়ালে বেশি ব্যবহূত হচ্ছে। তবে যে হ্যাংগার ঝুলাবেন, তা যেন পরিষ্কার হয়। মাঝারি আকারের তোয়ালে সাধারণত এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভালোভাবে হাত ধুয়ে তোয়ালেতে মোছা উচিত। অপরিষ্কার হাতে এটি ধরা উচিত নয়। এতে আপনার রোগজীবাণু দ্বারা অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারে। অন্তত তিন দিন পরপর খাবার ঘরের তোয়ালে বদলানো উচিত।
একটু বড় আকারের তোয়ালে গোসলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত। বিকল্প হিসেবে আরেকটি রাখলে ভালো, কোনো কারণে একটি ভেজা থাকলে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়। গোসলের পরপরই এটি শুকাতে দিতে হবে। তা না হলে তিলে পড়বে। ভাপসা গন্ধ হবে। মুখ মোছার জন্য নরম ধরনের তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
বাড়ির প্রত্যেকের তোয়ালে আলাদা হওয়া উচিত। এমনকি বাড়িতে আগত অতিথিদের জন্য আলাদা করে তা রাখা উচিত। পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন।
অল্প ময়লা হলেই এটি পরিষ্কার করা উচিত। হালকা কুসুম গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মেশান, এতে তোয়ালেটি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কেমন নতুনের মতো পরিষ্কার।
এ ছাড়া গৃহস্থালির জিনিস মোছার কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়। ছোট আকারের তোয়ালেই এ ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। অন্তত প্রতি সপ্তাহে সেগুলো ধুয়ে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২০, ২০০৯
Leave a Reply